নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: প্রবাদ আছে – হাত থেকে ঢিল আর মুখ থেকে কথা বেরিয়ে গেলে আর ফেরে না। রামের দিব্যি খেয়ে বলছি, প্রবাদ ষোলো আনার ওপর আঠারো আনা খাটি। আসলে এই প্রবাদের কারণ পোস্তা সেতু ভেঙে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া প্রতিক্রিয়া।
পোস্তা সেতু ভেঙে পড়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, এটা ভগবানের মার নয়, এটা দুর্নীতির মার। ব্যাখ্যা করলে দাঁড়ায়, পোস্তা সেতু নির্মাণে রাজ্য সরকার দুর্নীতি করেছে। মোদি এও বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার উদ্ধারকাজের দিকে মন দেওয়ার পরিবর্তে আগের বাম সরকারকে দুষছেন। সেই মন্তব্য এখন ব্যুমেরাং হয়ে ফিরছে। অ-বিজেপি সব দল এখন সেই প্রতিক্রিয়াকেই হাতিয়ার করে নমোকে বিঁধতে শুরু করেছে। সকাল থেকে অ-বিজেপি দলের হেভিওয়েট নেতারা ঠুকতে শুরু করেছেন।
শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী সোমবার টুইট করে প্রধানমন্ত্রীকে সেই প্রতিক্রিয়া মনে করিয়ে দিয়েছেন। প্রিয়ঙ্কার টুইট – কলকাতার পোস্তায় সেতু ভেঙে পড়ার পরে পরে প্রধানমন্ত্রী মোদি যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন সেটা ভীষণ ভীষণ মনে পড়ছে। ওনাকে বলতে শুনেছিলাম, এটা ভগবানের মার নয়, এটা দুর্নীতির কোপ। তাহলে মোরবি সেতুর ক্ষেত্রেও নিশ্চই একই কথা প্রযোজ্য। কী তাই তো?
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংও মোদিকে মনে করিয়ে দিয়েছেন সেই বক্রোক্তি। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর প্রশ্ন – মোদি জি, মোরবি সেতু ভেঙে পড়ল কী ভগবানের মারে না দুর্নীতির ঝাড়ে? নিশ্চই দুর্নীতি হয়েছে। আপনি কী বলেন? একই প্রশ্ন আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজের।
সেতু ভাঙার ঘটনায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব যে রীতিমতো বেকায়দায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পডু়ন ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই খুলে দেওয়া হয় Morbi সেতু, বিস্ফোরক বয়ান পুরকর্তার