নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদ গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তের তালিকায় যুক্ত হল বিধয়াক-পুত্রের নাম। পুলিশ তাকে আটক করেছে। বিধায়ক অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন-য়ের সদস্য (All India Majlis-e-Ittehadul Muslimeen)। পুলিশের দাবি অনুসারে, খানা-পিনার আসরের মূল উদ্যোক্তা এই বিধায়ক পুত্র এবং গণধর্ষণের পরিকল্পনাও তারই। গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ছজনকে পুলিশ আটক করেছে। এই ছয়ের বিরুদ্ধে পস্কো আইনে মামলা ( POCSO Act) রুজু করা হয়েছে। এই আইনে বিচারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অথবা ২০ বছরের জেল অথবা যাবজ্জীবন। আইনজীবীদের একাংশের মতে, কম পক্ষে এদের ২০ বছরের জেল অবধারিত।
হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার (Hyderabad police commissioner) সিভি আনন্দ জানিয়েছে, গণধর্ষণের (Gang-Rape) সঙ্গে জড়িত সকলকেই আটক করা হয়েছে। কমিশনার বলেছেন, ওসমান আলি নামে এক যুবক একটি পানশালায় খানা-পিনার আয়োজন করে। পরিকল্পনা ছিল ওই পানশালার ভিতরেই তরুণীকে গণধর্ষণের। বলা যেতে পারে, একপ্রকার চাপে পড়েই বিধায়ক পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই আটকের নেপথ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো, যেটি পোস্ট করেন এক বিজেপি নেতা।
গত সপ্তাহে বিজেপি বিধায়ক রঘুনন্দন রাও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো আপলোড করেন, যেখানে দেখা গিয়েছে AIMIM-য়ের পুত্রকে। সেই ভিডিয়ো পুলিশ ও প্রশাসনকে চাপে ফেলে দেয়। গ্রেফতার করা ছাড়া তাদের কাছে দ্বিতীয় কোনও রাস্তা ছিল না। জানা গিয়েছে, ওসমান নামে এক যুবক ওই পানশালা বুক করে। আর কুকীর্তি শুরু হয় মধ্যরাতের পর। অভিযুক্ত কিশোরদের প্রায় প্রত্যকেই প্রভাবশালীদের পুত্র। সে কারণে পুলিশ পদক্ষেপ করতে দ্বিধা করছিল। কিন্তু নানা প্রান্ত থেকে চাপ ওঠায় বাধ্য হয়ে তাঁরা মাঠে নামে।
আরও পডুন ক্ষোভে ফুঁসছে ঢাকাবাসী, ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে চারদিন ধরে গণধর্ষণ