নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর লালবাগ থেকে এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে চারদিন ধরে গণধর্ষণ করেছে একদল নরপিশাচ। বুধবার বিকালে ওই নির্যাতিতা ছাত্রীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে ফেলে যায় ধর্ষকরা। পরে এক পথচারি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ধর্ষকদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের ধরতে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবিতে সরবও হয়েছেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটা নাগাদ প্রাইভেট টিউশনিতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল নির্যাতিতা কলেজছাত্রী। লালবাগের ১০ নম্বর গলিতে পৌঁছনোর পরে শুভ ও আলামিন নামে দুই দুষ্কৃতী তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এক গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, তার পর থেকে টানা চারদিন লাগাতার ধর্ষণ করা হয় ছাত্রীটিকে। বুধবার বিকেল পৌনে তিনটে নাগাদ টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে তাকে ফেলে যায়।
রাস্তার উপরে ওই ছাত্রীকে পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসেন এক পথচারি। তাঁকেই গোটা ঘটনার কথা জানায় নির্যাতিতা। ওই পথচারিই মানবিকতা দেখিয়ে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির কোন ধারা প্রয়োগ করা হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খোদ রাজধানীর বুকে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে টানা চারদিন ধরে ধর্ষণ করার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।