নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সর্বভারতীয় সভাপতি পদে অজিত পওয়ারের নিয়োগ অবৈধ। নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় এমনটাই জানাল এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী। ফলে তাঁর নেওয়া কোনও সিদ্ধান্তের বৈধতা নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৩ জুলাই কাকা শরদ পওয়ারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে মহারাষ্ট্রের বিজেপি-সেনা জোট সরকারে সামিল হয়েছিলেন এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার। রাজনৈতিক ডিগবাজি খাওয়ার পুরস্কার হিসেবে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদও বাগিয়ে নিয়েছিলেন। অজিত গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে নিজেদের আসল এনসিপি হিসেবে দাবি করা হয়। এমনকি শরদ পওয়ারকে সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে রাতারাতি বিক্ষুব্ধদের পক্ষ থেকে অজিতকে সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দলের নাম ও প্রতীক ব্যবহারের অধিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠিও দেয়। পাল্টা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে এনসিপির নাম ও প্রতীক ব্যবহারের অধিকার তাঁর হাতেই থাকা উচিত বলে জানিয়েছিলেন শরদ পওয়ার।
প্রকৃত এনসিপি কারা তার প্রমাণ চেয়ে গত ২৭ জুলাই যুযুধান দুই গোষ্ঠীকেই বিশেষ নোটিস পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এনসিপির দুই গোষ্ঠীকে তথ্য-প্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। শরদ পওয়ারের পক্ষ থেকে বাড়তি চার সপ্তাহ সময় চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানানো হয়। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তথ্য-প্রমাণ জমা দেওয়ার জন্য এনসিপির যুযুধান দুই গোষ্ঠীকে নির্দেশ দিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় শরদ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এনসিপিতে কোনও ভাঙন হয়নি। ফলে সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে শরদ পওয়ারই রয়েছেন। অজিত পওয়ারের নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ।’