নিজস্ব প্রতিনিধি, প্রয়াগরাজ: লখিমপুর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে মোদি সরকার তাঁর মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করায় আদালত বিস্মিত। আদালত আরও বিস্মিত হয়েছে এটা জেনে যে, ১৪৪ ধারা জারির পরেও সেখানে একটি কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, সে অনুষ্ঠানে আবার প্রধানমন্ত্রী অতিথি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি এবং উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। চার অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের শুনানিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট কাটা কাটা ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, মন্ত্রীর উস্কানিতেই লখিমপুরের কৃষকেরা খাপ্পা হয়ে ওঠে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের দীনেশ কুমার সিংহের বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘য়ে সব ব্যক্তি রাজনীতির শীর্ষপদে রয়েছেন, তাঁদের বাকসংযমী হওয়া উচিত। তারা এমন কোনও কথা বলতে পারেন না, যা উস্কানি সমতুল হয়ে ওঠে। তাদের থেকে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আইন রক্ষার দায়িত্ব যাদের, তারা আইন ভাঙবেন, এটা আশা করা যায় না। এটা শুনে আমরা বিস্মিত যে লখিমপুর খেরিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে আর মন্ত্রী সেটা জানেন না। ১৪৪ ধারা মানে তো সেখানে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ।’
তবে সিটের ভূমিকায় আদালত সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বেঞ্চ বলেছে, সিট অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তদন্ত চালিয়েছে। তদন্ত হয়েছে নিরপেক্ষ। তদন্ত রিপোর্টে সিট যে সব তথ্যপ্রমাণ পেশ করেছে, তা যথেষ্ট শক্তিশালী। যে শব্দবন্ধনী ব্যবহার করেছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, লখিমপুর খেরিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে সিট মন্ত্রী-পুত্রের জামিনের প্রবল বিরোধিতা করে।