নিজস্ব প্রতিনিধি: সাঙ্ঘাতিক ঘটনা বললেও কম বলা হয়। মঙ্গল সন্ধ্যায় হুট করে নোবেলজয়ী(Nobel Laureate) অমর্ত্য সেনের(Amartya Sen) মৃত্যুর যে খবর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল তার নেপথ্য ছিল ট্যুইটারের এক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট(Fake Twitter Account)। সেই অ্যাকাউন্ট আবার খোলা হয়েছিল অর্থনীতিতে সদ্য সদ্য নোবেল জয়ী ক্লডিয়া গোল্ডিনের(Claudia Goldin) নামে। ক্লডিয়া আবার অমর্ত্যের ছাত্রী। তাই বিশ্ববাসীর কাছে সেই খবরের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনও অবকাশ ছিল না। যদিও পরে ক্লডিয়া নিজেই জানান, যে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে অমর্ত্যের ভুয়ো মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তা আদতে তাঁর নয়। তাঁর নামে ওই অ্যাকাউন্ট খোলা হলেও আদতে তা ফেক অ্যাকাউন্ট। এরপরে পরেই অমর্ত্য কন্যা নন্দনা সেন(Nandana Sen) জানান, তাঁর বাবা ভাল আছেন, সুস্থ আছেন। কেউ যেন তাঁর মৃত্যু সংক্রান্ত ভুয়ো খবর না ছড়ান।
অমর্ত্যের মৃত্যুর ভুয়ো খবর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তেই বাংলার প্রথম শ্রেনীর এক সংবাদমাধ্যমকে নন্দনা জানান, অমর্ত্য ভালই আছেন। তিনি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনে রয়েছেন আর নন্দনা রয়েছেন নিউ ইয়র্কে। সেখান থেকেই তিনি জানিয়েছেন, ‘বাবার মৃত্যু হয়েছে এই গুজব ছড়ানো বন্ধ হোক। গত সপ্তাহটা আমরা বাবার সঙ্গেই ছিলাম। তাঁর সঙ্গেই কাটিয়েছি। তিনি একেবারেই সু্স্থ আছেন। প্রাণশক্তিতে ভরপুর রয়েছেন। নিজের নতুন বই নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। আমি অনুরোধ করছি, এ সব গুজব ছড়ানো বন্ধ রাখুন। বাবা ভাল আছেন। সুস্থ আছেন। আমি সোমবার রাত পর্যন্ত তাঁর সঙ্গেই ছিলাম।’ এরপরে পরেই জানা যায়, ইতালিয়ান সাংবাদিক টোমাসো ডেবেনেডেট্টি ক্লডিয়ার নামে ওই ভুয়ো ট্যুইটার অ্যাকাউন্টটি তৈরি করেছেন। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই লেখা হয়েছিল, ‘মর্মান্তিক খবর! আমার প্রিয়তম অধ্যাপক অমর্ত্য সেন কয়েক মিনিট আগে প্রয়াত হয়েছেন। ভাষা নেই!’ যদিও পরে সেই ট্যুইট মুছে ফেলা হয়।