নিজস্ব প্রতিনিধি, দৌসা: রাজনৈতিক পণ্ডিতদের বোকা বানিয়ে দিলেন শচিন পাইলট। বাবা রাজেশ পাইলটের ২৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতেই রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী নয়া দল গড়তে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তাই রবিবার দৌসায় শচিনের কর্মসূচির দিকে তাকিয়েছিল গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল। কিন্তু সব জল্পনায় জল ঢেলে কংগ্রেসেই থেকে গেলেন রাজেশ-পুত্র। আর তাতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গেরা।
তবে দল না ছাড়লেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তথা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে বিঁধতে কসুর করেননি প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছেন তা থেকে পিছু হঠবেন না বলে জানিয়ে ৪৫ বছর বয়সী রাজনেতা বলেন, ‘যুব প্রজন্মের ভালো ভবিষ্যতের জন্যই আমার লড়াই। সাধারণ মানুষ সব সময়ে আমার সঙ্গে থেকেছেন। না আমার কণ্ঠস্বর দুর্বল, না আমি পিছু হঠব। দেশবাসীর স্বার্থে আজকে সত্যির রাজনীতির প্রয়োজন। আমি চাই না যুব প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে কেউ খেলা করুক। আমার আবস্থান একদম স্পষ্ট। আমি স্বচ্ছ রাজনীতি চাই। এক সময়ে যিনি বলতেন, ভুলের জন্য সাজা পাওয়া উচিত, আজ তিনি চোখ বন্ধ করে রয়েছেন। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।’ বাবা রাজেশ পাইলট যেভাবে সারা জীবন বঞ্চিত ও কৃষকদের স্বার্থে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি যে সেই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাও এদিন স্পষ্ট করেছেন শচিন।
রাজস্থান বিধানসভা ভোটের আগে মরুরাজ্যের বিদ্রোহী নেতা দল না ছাড়ায় অনেকটাই স্বস্তিতে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতার কথায, ‘শচিন পাইলট যে দল ছাড়বেন না তা আমরা জানতাম। দল ছাড়ার হলে তো বহু আগেই ছাড়তে পারতেন। রাজস্থানে ক্ষমতা ধরে রাখতে দল শুধু গহলৌত নয়, সচিনের ওপরেও অনেকটা নির্ভরশীল।’