এই মুহূর্তে




পাকিস্তানে ‘সিক্রেট কিলারের’ হাতে মৃত্যু হয়েছে একের পর এক সন্ত্রাসীর, তালিকা দেখলে চমকে যাবেন




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: পাকিস্তানে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের হাতে নিহত হয়েছে লস্কর-ই-তৈবার খাস সন্ত্রাসী সাইফুল্লাহ খালিদ। ভারতে বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকারী ছিল সে। খালিদ তিনটি বড় হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিল। ২০০১ সালে রামপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা, ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস (আইএসসি) হামলা এবং ২০০৬ সালে নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদর দফতরে হামলা।

খালিদ একমাত্র মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নয় যে যাকে ‘সিক্রেট কিলার’ অর্থাৎ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি খুন করলেন। পাকিস্তানে এমনভাবে জঙ্গি নিধনের নজির অনেক। অন্তত ১৫ জন সন্ত্রাসীর এই ভাবে মৃত্যু হয়েছে যারা জৈশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক তাদের নাম।

আবু কাতাল: ফয়জল নাদিম ওরফে আবু কাতাল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। লস্কর ই তৈবার সদস্য আবু ঝিলাম জেলায় অজ্ঞাত আততায়ীদের গুলি খুন হয়। হাফিজ সঈদের ভাইপো ফয়জল নাদিমকে এনআইএ মোস্ট ওয়ান্টেড ঘোষণা করেছিল।

আদনান আহমেদ: হাফিজ সঈদ ঘনিষ্ঠ আদনান আহমেদ লস্করের খাস সন্ত্রাসী ছিল। ২০২৩ সালে করাচিতে অজ্ঞাত আততায়ীদের হাতে মৃত্যু হয় আদনান আহমেদ ওরফে হনজলা আদনানের। তার বিরুদ্ধে পাম্পোরে সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার অভিযোগ ছিল।

শাহিদ লতিফ: পাঠানকোট হামলার মাস্টারমাইন্ড ও জইশ-ই-মহম্মদের টপ কম্যান্ডার লতিফকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে শিয়ালকোটে এক মসজিদের সামনে গুলি করে মারা হয়। ২০১৬ সালে পাঠানকোট এয়ারবেসে যখন হামলা হয় তখন লতিফ পাকিস্তানেই ছিল। সেখান থেকে তার নির্দেশে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।  ।

মৌলানা কাশিফ আলি: হাফিজ সঈদ ঘনিষ্ঠ মৌলানা কাশিফ আলি অজ্ঞাত আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়। ২০২৫ সালে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন অঞ্চলে নিজের বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা হয়। কাশিফ হাফিজ সঈদের শ্যালক ছিল বলে জানা যায়।

মুফতি শাহ মীর: পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের আন্ডার কভার এজেন্ট ছিল মুফতি শাহ মীর। তাকে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে বালুচিস্তানের তুরবত শহরে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা গুলি করে মারে। প্রাক্তন ভারতীয় নৌ আধিকারিক কূলভূষণ যাদবকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া ক্ষেত্রে আইএসআইকে সাহায্য করেছিল মুফতি শাহ মীর। আইএসআইয়ের সাহায্যে মুফতি অস্ত্র আর ড্রাবের কারবার চালাতো।

আক্রম গাজী: লস্কর ই তৈবার সদস্য আক্রম খান ওরফে আক্রম গাজীকে পাকিস্তানের বাজোরে ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত লস্করে যুব ও তরুণদের ভর্তি করাতো সে। চূড়ান্ত ভারত বিরোধী আক্রম একের পর এক ষড়যন্ত্রে সামিল ছিল।

খাজা শাহিদ:  জম্মুর সুঞ্জওয়ানে সেনা ক্যাম্পে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী খাজা শাহিদকে ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার ধড় আর মুন্ডু আলাদা করা ছিল। তাকে কয়েকদিন অপহরণও করা হয়েছিল। শাহিদ ছিল লস্করের কমান্ডার।

মৌলানা জিয়াউর রহমান: লস্কর সন্ত্রাসী মৌলানা জিয়াউর রহমানকেও অজ্ঞাত আততায়ীদের দ্বারা খুন হয়েছিল। করাচির গুলিস্তান-ই-জওহরে মৌলবী হিসেবে থাকত সে। কিন্তু তার কাজ ছিল ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া এবং জিহাদ করতে যুবকদের উস্কে দেওয়া। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে করাচিতে দুই বাইক আরোহী গুলি চালিয়ে হত্যা করে তাকে।

বশির আহমেদ: হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসী বশির আহমেদ পীর ওরফে ইমতিয়াজ আলমকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুলি করে হত্যা করা হয়। ভারত সরকার UAPA আইনের অধীনে বশিরকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করে। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে অজ্ঞাত আততায়ীদের গুলিতে বশির নিহত হয়।

জহুর ইব্রাহিম: জইশ সন্ত্রাসী জহুর ইব্রাহিম ওরফে মিস্ত্রি জহুর ইব্রাহিমকেও করাচিতে ২০২২ সালের মার্চ মাসে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান ছিনতাই ঘটনায় জহুর জড়িত ছিল। জহুরকে খুব কাছ থেকে গুলি করে দুই বাইক আরোহী।

মেজর দানিয়াল: ২০২৫ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আধিকারিক ও আইএসআই ঘনিষ্ঠ মেজর দানিয়াল পেশোয়ারে অজ্ঞাত আততায়ীদের হাতে নিহত হন। ২০১৬ সালে বারামুল্লায় সেনা কনভয়ের উপর হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন তিনি। মেজর দানিয়াল ভারতীয় সেনা কনভয়ের উপর আক্রমণকারী সন্ত্রাসীদের সাহায্য করেছিলেন।

পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার: খালিস্তান কমান্ডো ফোর্সের (কেসিএফ) প্রধান এবং সন্ত্রাসী পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার ওরফে মালিক সর্দার সিংও অজানা হামলাকারীদের হাতে নিহত হয়। ২০২০৩ সালের মে মাসে লাহোরে এই খালিস্তানি সন্ত্রাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সকাল ৬টার দিকে পরমজিৎ তার সোসাইটিতে হাঁটছিল। তখন মোটরসাইকেলে করে দুজন লোক এসে তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে ভারত সরকার পরমজিৎ সিংকে UAPA-এর অধীনে সন্ত্রাসী ঘোষণা করে।

কারি এজাজ আবিদ: জইশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের আত্মীয় কারি এজাজ আবিদও ২০২৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানে অজ্ঞাত হামলাকারীদের হাতে নিহত হয়। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারে একটি মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসার সময় আবিদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার এক সঙ্গীও এই হামলায় গুরুতর আহত হয়।

দাউদ মালিক: ২০২৩ সালের অক্টোবরে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হাতে মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দাউদ মালিক নিহত হয়। দাউদ মালিক লস্কর-ই-জব্বার নামক একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিল।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফুটানি! লন্ডনে মোল্লা ইউনূসের জন্য ভাড়া করা হয়েছিল ৭ লাখি হোটেল রুম

ইরানের হামলার ভয়ে আত্মগোপনে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু

‘সংস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন’, কর্মীদের চিঠি টাটা চেয়ারম্যানের

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জ্বলছে ধুবড়ি, দেখামাত্রই গুলি চালানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানকে অপসারণে ইউনূসকে সমর্থন তারেকের

এয়ার ইন্ডিয়ার সমস্ত বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানের নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হবে, এল ডিজিসিএর কড়া নির্দেশ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ