নিজস্ব প্রতিনিধি, নাগপুর: সুবিধাবাদী একনাথ শিন্ডের সঙ্গে বিজেপির হাত মেলানোকে যে মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না নাগপুরের বাসিন্দারা বিধান পরিষদের নির্বাচনে ফের প্রমাণ হয়ে গেল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত নাগপুরের শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত বিধান পরিষদ আসনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। পদ্ম শিবিরের প্রার্থী নাগো গানোরকে হারিয়ে ওই আসনে জয়ী হয়েছেন মহাজোট প্রার্থী সুধাকর আড়বালে। খোদ দলের দুই হেভিওয়েট নেতার খাসতালুকে এমন ফলাফলে যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
আগামী সাতই ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের পাঁচটি আসনের বিধায়কদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার মধ্যে তিনটি শিক্ষকদের এবং দুইটি স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত। গত সোমবার ওই পাঁচ আসনে ভোট নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ভোট গণনা হয়। সবার নজর ছিল নাগপুরের শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ফলাফলের দিকে। কেননা, নাগপুরেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সদর দফতর। তাছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি ও মহারাষ্ট্রের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বাড়ি। এদিন ভোট গণনা শেষে দেখা যায় শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী, কংগ্রেস ও এনসিপি জোটের প্রার্থী সুধাকর আড়বালে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭০০ ভোট। বিজেপি প্রার্থী নাগো গানোর পেয়েছেন মাত্র ৮ হাজার ২১১টি ভোট। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে আট হাজার ভোটে জিতেছেন মহাজোট প্রার্থী।
নাসিক স্নাতক আসনে এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ প্রার্থী সত্যজিত তাম্বে। অমরাবতী আসনে এগিয়ে মহাজোট প্রার্থী ধীরাজ লিঙ্গাড়ে। এই আসনে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদায়ী বিধায়ক রঞ্জিত পাতিল। কোঙ্কন আসনে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী ধ্যানেশ্বর মাহাত্রে। অওরাঙ্গাবাদ আসনে এগিয়ে মহাজোট প্রার্থী বিক্রম কালে।