নিজস্ব প্রতিনিধি: চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মেঘলা আকাশ। আর সেই মেঘলা আকাশে ওই চপারের পাইলট একটি ‘ভুল’ করেন তাই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিংয়ের নেতৃত্বে গঠিত থ্রি-টায়ার তদন্তকারী দল এমনটাই জানাল তাঁদের রিপোর্টে। তামিলনাড়ুর কুন্নুরে ডিসেম্বর মাসে ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনায় মুত্যু হয় সস্ত্রীক সিডিএস বিপিন রাওয়াতসহ আরও ১১ জনের। কপ্টার দুর্ঘটনায় কার্যত ঝলসে যায় প্রত্যেক সেনা অফিসারদের দেহ। ভারতের ইতিহাসে অন্যতম বড় দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল কুন্নুরের বাসিন্দারা। সেই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের জন্য থ্রিটায়ার কমিটি গড়া হয়। বায়ুসেনার অধীনে থাকা সেই কমিটি শনিবার বিস্তারিত রিপোর্টে জানিয়েছে, ‘সমস্ত প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর কুন্নুর উপত্যকায় হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলেই যাত্রা পথে ঘন মেঘের মাঝে ঢুকে পড়ে হেলিকপ্টারটি। এরপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে পাইলট এবং ‘কন্ট্রোলড ফ্লাইট ইনটু টেরিন’-র ফলে কপ্টারটি ভেঙে পড়ে।’
অর্থাৎ বিশেষজ্ঞরা যেটা মনে করছিল তাতেই সিলমোহর দিল তদন্তকারী দল। কুন্নুরে খারাপ আবহাওয়ায় দায়ী বিপিন রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনার জন্য। গত ৮ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর কুন্নুরের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত-র হেলিকপ্টার। ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন বিপিন রাওয়াতের স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত ও ১২ জন সেনা আধিকারিক। দুর্ঘটনায় ১৩ জনেরই মৃত্যু। গ্রামবাসীরা উদ্ধার করতে গেলেও শেষরক্ষা হয় নি। অবশেষে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানানো হয়েছে তদন্তকারী দলের তরফে। এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিংয়ের নেতৃত্বে গঠিত থ্রি-টায়ার তদন্তকারী দল স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘কন্ট্রোলড ফ্লাইট ইনটু টেরিন’-র ফলে কপ্টারটি ভেঙে পড়ে। অর্থাৎ ওই কপ্টারের কোনও ত্রুটি ছিল না বা যান্ত্রিক গলযোগ হয় নি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই কপ্টারের পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারায় নি। খারাপ আবহাওয়া ও মেঘের প্রবেশের জন্য পাহাড়ে ধাক্কা মেরে খাদে বা পাহাড়ের কোলে পড়ে যায়। এটাকেই তদন্তের ভাষায় বলা হয়, ‘কন্ট্রোলড ফ্লাইট ইনটু টেরিন’।