নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচার শেষ হল বুধবার বিকালে। শেষ লগ্নে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও নেতারা প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন। কেউ শেষ লগ্নে ভোটারদের দরজায়-দরজায় গিয়ে ভোট ভিক্ষা করলেন। আবার কেউ রোড শোয়ের মাধ্যমে নিজের শক্তি জাহির করলেন।
আগামী শুক্রবার ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮টি আসনে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে। তার মধ্যে অসমের পাঁচ, বিহারের চার, ছত্তিশগড়ের তিন, কর্নাটকের ১৫, কেরলের ২০, মধ্যপ্রদেশের ছয়, রাজস্থানের ১৩, মহারাষ্ট্রের ৮, পশ্চিমবঙ্গের তিন ও উত্তরপ্রদেশের আটটি আসন রয়েছে। এছাড়া জম্মু-কাশ্মীরের জম্মু, ত্রিপুরার ত্রিপুরা পূর্ব, মণিপুরের আউটার মণিপুর আসন রয়েছে। দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জ আসনে ভোট নেওয়া হবে। তাছাড়া কেরলের ২০টিন আসনে এক দফাতেই ভোট নেওয়া হবে।
দ্বিতীয় দফায় ৮৮ আসনে ভাগ্যপরীক্ষায় নেমেছেন ১,২০৬ জন। তার মধ্যে ১,১৯২ জনের মনোনয়ন পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ১৬৭ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর ধারায় মামলা রয়েছে। কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯০ জন। মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ১০০ জন। অর্থাৎ মাত্র ৮ শতাংশ মহিলা প্রার্থী রয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় যাদের ভাগ্য ইভিএম বন্দি হচ্ছেন তারা হলেন রাহুল গান্ধি (ওয়ানাড), শসী থারুর (তিরুঅনন্তপুরম), হেমামালিনী (মথুরা), রাজীব চন্দ্রশেখর (তিরুআনন্তপুরম), ভূপেশ বাঘেল (রাজনন্দনগাঁও), অরুণ গোভিল (মেরঠ), এইচডি কুমারস্বামী (মাণ্ড্য), বৈভব গেহলট (জালোর) সুকান্ত মজুমদার (বালুরঘাট), ও কৃষ্ণকুমার কল্যাণী (রায়গঞ্জ)।