নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা সোনিয়া কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে অনৈতিকভাবে আটকে রেখেছে যোগীর পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের খেরিতে রবিবার বিকালে হওয়া কৃষক হত্যার ঘটনায় গোটা দেশ জুড়ে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন। ওইদিন রাতেই মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে লখিমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। কিন্তু তাঁর প্পথ আটকে তাঁকে অনৈতিকভাবে উত্তরপ্রদেশের কাছে সিতাপুরের একটি অতিথিশালায় ‘আটকে’ রেখেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এমনকি তাঁর সঙ্গে কেউ সাক্ষাৎ অবধি করতে পারছেন না। আর ঠিক এই কারণেই মঙ্গলবার লখনউ বিমানবন্দরেই ধর্নায় বসলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তাঁর অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁকে লখনউ বিমানবন্দর থেকে বেরোতে অবধি দিচ্ছেন না। তিনি লখিমপুরের খেরিতে যাচ্ছেন না। তিনি সীতাপুরে যেতে চান প্রিয়াঙ্কা গান্ধির সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু পুলিশ তাতেও অনুমতি দেননি।
এই প্রসঙ্গে বাঘেল একটি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘আমি লখনউতে এসেছিলাম সীতাপুরে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধির সঙ্গে দেখা করব বলে। আমি লখিমপুরের খেরিতে যাচ্ছিলাম না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাকে লখনউ বিমানবন্দর থেকেই বেরোতে দেয়নি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাকে বিমানবন্দরের মধ্যে আটকে রাখার কোনও লিখিত নির্দেশ ছাড়াই।’
উল্লেখ্য, লখিমপুরে কৃষক মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই বিজেপি বিরোধী দলের নেতা নেত্রীদের গতিবিধির ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মূলত এই কারণেই সোমবার ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী এবং পঞ্জাবের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বিমান অবতরণের অনুমতি অবধি দেওয়া হয়নি লখনউ বিমানবন্দরে। অন্যদিকে লখিমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধির পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবও। কিন্তু তাঁকেও লখনউতেই আটকে দেয় পুলিশ। এর প্রতিবাদে অখিলেশও তাঁর বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসেছিলেন সোমবার। শেষে তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।