নিজস্ব প্রতিনিধি, ইটানগর: অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত সীমান্ত রেখা (এলএসি) নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে বেজিংয়ের সঙ্ঘাতের প্রভাব পড়ল জি-২০ বৈঠকেও। রবিবার ইটানগরে জি ২০ এর একটি বৈঠক বয়কট করলেন চিনেরর প্রতিনিধি। যদিও বিভিন্ন দেশের ৫০ জন প্রতিনিধি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বৈঠকে চিনের প্রতিনিধির অনুপস্থিতি নিয়ে যেমন নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে মুখ খোলা হয়নি, তেমনই চিনের বিদেশ মন্ত্রকও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
উত্তর পূর্বের অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নয়াদিল্লি-বেজিং সঙ্ঘাত চলছে। চিনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যটি তিব্বতের অন্তর্গত। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বেশ কয়েকবার ডোকালাম সীমান্তে ভারতীয় সেনা ও চিনের লাল ফৌজ সঙ্ঘাতেও জড়িয়েছে। তৎকালীন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অভিযোগ করেছিলেন, ‘অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে অকারণে অস্থিরতা তৈরি করছে চিন।’
গতকাল রবিবারই জি ২০ এর একটি গুরুত্বপূরৃণ বৈঠক বসেছিল ইটানগরে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ‘রিসার্চ ইনোভেশন ইনিশিয়েটিভ, গ্যাদারিং’ নামাঙ্কিত ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু গোপন রাখা হয়েছে। যে কারণে সংবাদমাধ্যমকে বৈঠকের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, বৈঠকে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের ইটানগর বিধানসভা ভবনের পাশাপাশি একটি বৌদ্ধ মঠও ঘুরিয়ে দেখানো হয়। তাছাড়া স্থানীয় খাবারও চেখে দেখেছেন তাঁরা।