নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: এক সময়ের দুর্গে গত কয়েক বছর ধরেই দলের জন সমর্থনে ধস নেমেছে। গত লোকসভা ভোটে শুধু রায়বরেলি (Raebareli) থেকে জয় পেয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi)। এমনকী একদা গান্ধি পরিবারের দুর্গ হিসেবে পরিচিত অমেঠি (Amethi) থেকে হেরে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। চলতি বছরের গোড়ায় বিধানসভা ভোটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে (Priyanka Gandhi) প্রধান সেনাপতি করে লড়াইয়ে নেমেও কার্যত খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল শতাব্দী প্রাচীন দলকে। তাই আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপির জয়রথ থামাতে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল দলিত নেতা ব্রিজলাল কাবরিকে (Brijlal Kabri)।
এক সময়ে মায়াবতীর (Mayawati) দল বহুজন সমাজ পার্টির (BSP) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন ব্রিজলাল কাবরি (Brijlal Kabri)। কিন্তু বহেনজি বিজেপি বান্ধব হয়ে ওঠার পরেই তাঁর সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেসে নাম লেখান বুন্দেলখণ্ডের অন্যতম পরিচিত দলিত মুখ। লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ কাবরি গত বিধানসভা ভোটে ললিতপুর জেলার মউরৌনি আসন থেকে লড়ে হেরে যান। কাবরির স্ত্রীও ঝালাউন জেলার ওরাই থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ে পরাস্ত হয়েছিলেন।
ভোটে হেরে গেলেও লোকসভা ভোটে দলিত ভোট নিজেদের দিকে টানতে রাজ্যের অন্যতম দলিত মুখের উপরেই ভরসা রেখেছেন সোনিয়া গান্ধি। পাশাপাশি রাজ্যকে ছয়টি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতি অঞ্চলের ভার ছয় নেতার উপরে ন্যস্ত করেছেন। ওই ছয় নেতা হলেন অজয় রাই, নাসিমউদ্দিন সিদ্দিকী, বীরেন্দ্র চৌধুরী, নকুল দুবে, অনিল যাদব এবং যোগেশ দীক্ষিত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ছয় অঞ্চলের সেনাপতি নিয়োগের ক্ষেত্রেও মুসলিম, ওবিসি, ব্রাহ্মণ ভোটের কথা মাথায় রেখেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।