নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপির জয়রথ রোখার রণকৌশল নির্ধারণে আগামী ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বসছে বিরোধী দলগুলির বৈঠক। ওই বৈঠকের আয়োজক কংগ্রেস। বৈঠকের ৪৮ ঘন্টা আগেই দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ে কেন্দ্রের আনা অধ্যাদেশের বিরোধিতার কথা জানিয়ে দিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বেঙ্গালুরুর বৈঠকে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতেই দিল্লির অধ্যাদেশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান খোলসা করলেন সোনিয়া গান্ধি-মল্লিকার্জুন খাড়গেরা।
আগামী ১৯ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন বসছে। ওই অধিবেশনে ২১টি নতুন বিল আনছে মোদি সরকার। শেষ মুহুর্তে পেশ হতে পারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংক্রান্ত বিলও। সংসদের বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কী রণকৌশল হবে তা ঠিক করতে এদিন বৈঠকেদ বসেছিলেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। সোনিয়া গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গে ছাড়াও ছিলেন জয়রাম রমেশ-সহ দলের শীর্ষ নেতারা। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দিল্লির আমলাদের বদলি ও পোস্টিং সংক্রান্ত ক্ষমতা নিয়ে মোদি সরকারের আনা অধ্যাদেশের বিরোধিতা করা হবে।
দিল্লি অধ্যাদেশের বিরোধিতা করার জন্য কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে একাধিকবার অনুরোধ জানিয়েছিলেন আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করার সময়ও চেয়েছিলেন। যদিও আপ সুপ্রিমোকে সময় দেননি কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা। গত ২৩ জুন পটনায় নীতীশ কুমারের ডাকা বৈঠকে দিল্লির অধ্যাদেশ নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন আপ সুপ্রিমো। এমনকি দিল্লির শাসকদলের পক্ষ থেকে ঘোষণাও করা হয়েছিল, কংগ্রেসের ডাকা কোনও বৈঠকে দলের কেউ হাজির থাকবে না। কিন্তু এদিন দিল্লির অধ্যাদেশের বিরোধিতার কথা ঘোষণা করে শত্রু আপের দিকে সোনিয়া গান্ধিরা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেন।