-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 3:35 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ইম্ফল: মাস খানেক ধরে জাতিগত দাঙ্গায় অশান্ত মণিপুর। সেনা নামিয়ে, কার্ফু জারি করেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। একদিকে যেমন জাতিগত অশান্তির আগুন জ্বলছে, অন্যদিকে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও লাগাতার বেড়ে চলেছে। এক মাসের ব্যবধানে অধিকাংশ জিনিসের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে বাজারে গিয়ে রীতিমতো খালিব্যাগ নিয়ে ফিরতে হচ্ছে আম জনতাকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কালোবাজারি রুখতে প্রশাসনের নির্বিকার মনোভাবে ক্ষুব্ধ মণিপুরবাসী।
রাজধানী ইম্ফলে রান্নার গ্যাসের আকাল শুরু হয়েছে। সরবরাহ নেই বলে গ্রাহকদের কাছে গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ করছে না এলপিজি’র এজেন্সিগুলি। অথচ কালোবাজারে টাকা দিলেই মিলছে গ্যাস। এক সিলিন্ডার গ্যাসের দাম নেওয়া হচ্ছে ১,৮০০ টাকা। শুধু গ্যাসই নয়, পেট্রলও মহার্ঘ হয়ে উঠছে। এক লিটার জ্বালানি তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ১৭০ টাকা। ডিমের দাম ছয় টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা। চালের দামও এক ধাক্কায় দ্বিগুণ হয়েছে। ৯০০ টাকার চাল বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা।
গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র ইউনিয়নের মহামিছিলের পরেই নতুন করে অশান্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তির ঘটনায় ৭০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। রাজধানী ইম্ফল, চূড়াচন্দ্রপুর-সহ একাধিক জেলায় নামাতে হয় সেনা। জারি করা হয় কার্ফু। অশান্তির কারণে ভিন রাজ্য থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী লরি ঢুকতে পারেনি পাহাড়ি রাজ্যে। ফলে জিনিসপত্রের আকাল দেখা দিয়েছে। আর তাতেই পোয়াবারো কালোবাজারিদের।