নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি ও মুম্বই: বছর শেষ হয়েছিল উদ্বেগজনক খবর দিয়ে। নতুন বছর শুরু হল আতঙ্ক আর উদ্বেগের মধ্য দিয়ে। আর সন্ধ্যায় এল আরও উদ্বেগের খবর। রাজধানী সাক্ষী রইল প্রথম মৃত্যুর। পাশাপাশি বেড়েছে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, রাজধানীতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুন (১ জানুয়ারি, ২০২২, সন্ধ্যা সওয়া সাতটায় প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে)। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২,৭১৬জন।
আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ল বাণিজ্যনগরী মুম্বইতেও। দিল্লির পাশাপাশি মুম্বইও সাক্ষী রইল মৃত্যুর। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ পাওয়া খবরে (১ জানুয়ারি, ২০২২, রাত আটটায় প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে)জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায়য় দৈনিক সংক্রমণ এক ধাক্কায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধির হার দ্বিগুন।। শুক্রবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,৬৭১জন। এক লাফে সেটা বেড়ে হয়েছে ৯,১৭০। সাতজনের মৃ্ত্যু হয়েছে। ভাইরাসের শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্য সরকার জারি করেছে একাধিক নিষেধ। জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু। কার্ফু ১২ ঘণ্টার, সন্ধ্যা পাঁচটা থেকে পরের দিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ জানুয়ারি, ২০২২, সন্ধ্যা সওয়া সাতটায় প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, করোনার নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫৪জন। বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত ২৮২জনের নমুনা জেনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন। শনিবার সকালের খবরে জানা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত মহারাষ্ট্রের ১০ মন্ত্রী এবং ২০জন বিধায়ক। তাঁরা আইসোলেশনে চলে গিয়েছেন।