নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মণিপুর নিয়ে লোকসভায় আনা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে অংশ নিলেন রাহুল গান্ধি। আর বুধবার বিতর্কের সূচনা করতে গিয়ে শুরুতেই ট্রেজারি বেঞ্চে বসা শাসক শিবিরের সাংসদদের উদ্দেশে টিপ্পনি ছুড়ে বলেন, ‘বিজেপির বন্ধুদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আজ আমি আদানিকে নিয়ে কিছু বলব না। কোনও আক্রমণ করতে আসিনি। আমি আজ হৃদয়ের কথা বলব।’
দেশকে নতুন করে চিনতে ও জানতে তিনি কীভাবে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে প্রান্তিক মানুষের দুর্দশা চোখে দেখেছেন, তাঁদের অবর্ণণীয় কষ্টের কথা শুনেছেন তার উল্লেখ করে রাহুল বলেন, ‘সমুদ্র তট থেকে বরফ ঘেরা কাশ্মীর পর্যন্ত ১৩০ দিন পদযাত্রা করেছি। সাধারণ মানুষ আমাকে প্রশ্ন করেছেন, কেন এমন কর্মসূচি নিলাম? আমারও প্রথমে এই যাত্রা সম্পর্কে কোনও আন্দাজ ছিল না। শুধু মানুষকে চিনতে ও নতুন করে জানতে যাত্রা শুরু করেছিলাম। আমার মনে যে অহঙ্কার ছিল, সেই অহঙ্কার নিমিষেই চুরমার করে দিয়েছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’।
এক কৃষকের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন তুলে ধরে রাহুল বলেন, ‘যাত্রার সময়ে এক কৃষকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তিনি তাঁর দুঃখের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘রাহুলজি, আপনাকে দেওয়ার মতো আমার কাছে কিছুই অবশিষ্ট নেই। ফসলের ক্ষতি হওয়া সত্বেও বিমার অর্থ পাইনি।’ আসলে গরিব কৃষকদের বিমা’র অর্ত এদেশের কয়েকজন শিল্পপতি ছিনিয়ে নিয়েছে।’