নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাজধানীর জাফরাবাদে (Jafrabad) এক শিহরে ওঠার মতো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। চার ও ১৩ বছরের দুই শিশুসন্তান এবং স্ত্রীকে গুলি করে খুন করে শেষে নিজেও আত্মঘাতী হয়েছেন ইশরার আহমেদ (Ishrar Ahamed) নামে এক ব্যবসায়ী। পুলিশ চারটি মৃতদেহই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের (Postmortem) জন্য পাঠিয়েছে। যদিও কী কারণে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ আধিকারিকরা।
দিল্লি পুলিশের উত্তর-পূর্ব ডিভিশনের (North-East Division) ডেপুটি কমিশনার সঞ্জয় সেন (Sanjay Sen) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘জাফরাবাদের একটি বহুতলের চার তলায় স্ত্রী ফারহিন (Farheen) ও দুই কন্যা ইনাইয়া (Inaya) ও ইয়াশিকাকে (Yashika) নিয়ে বসবাস করতেন ইশরার আমেদ। ওই ভবনের অন্য তলায় থাকতেন তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা। পোশাক ব্যবসায় জড়িত ইশরার কিছুদিন আগে প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। সেই আর্থিক ক্ষতির পরেই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। এদিন প্রথমে স্ত্রী ফারহিনকে গুলি করে খুন করেন। পরে চার ও ১৩ বছরের দুই শিশু সন্তানকেও গুলি করেন। শেষে নিজে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন।’
গুলির শব্দ শুনেই ওই একই বিল্ডিংয়ে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে উপরে গিয়ে ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে পান। ঙ্করের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ফারহিন, ইনাইয়া ও ইয়াশিকা। রক্তে ভিজে গিয়েছে পুরো ঘর। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। ঘর থেকে অবশ্য কোনও সুইসাইড নোট (Suicide Note) মেলেনি।