নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের দু’দিনের দিল্লি অভিযান। শুধু দলীয় নেতৃত্ব নয়। ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড হোল্ডারদেরও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একের পর এক বাস দিল্লিতে পৌঁছেছে। যাত্রীদের অম্বেদকর ভবনে রাখা হয়েছে। সোমবার সকালে সেই অম্বেদকর ভবনে যায় দিল্লি পুলিশের একটি দল। কয়টি বাস এসেছে, কয়টি বাস আসার সম্ভাবনা রয়েছে খোঁজখবর নেয় দিল্লি পুলিশ। এই অতিসক্রিয়তা দেখেই প্রশ্ন উঠেছে বিস্তর।
আগেই তৃণমূলের ধর্না অবস্থানের অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। দীর্ঘ টালবাহানার পর যন্তর মন্তরে কর্মসূচির অনুমতি মিলেছে। তবে রামলীলা ময়দানে কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। ফলে তৃণমূলের বাস পৌঁছতেই দিল্লি পুলিশের পৌঁছে যাওয়া নিয়ে সন্দেহ অবশ্যই রয়েছে। এই অম্বেদকর ভবনে যাত্রীরা বিশ্রাম নিয়ে এরপর দিল্লিতে কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। তাই সেক্ষেত্রে কোন বাধার সম্মুখীন হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন। তাই এই মন্ত্রকের অতিসক্রিয়তায় বিজেপির কোন নেপথ্য অঙ্গুলিহেলন রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের অন্দরে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের দু’দিনের দিল্লি অভিযান। গান্ধী জয়ন্তীতেই শুরু সেই কর্মসূচি। সোমবার রাজঘাটে গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হবে তৃণমূলের অবস্থান সত্যাগ্রহ। রাজঘাটে দুপুর ১.৩০ মিনিটে দু’ঘণ্টার অবস্থানেও বসবেন মন্ত্রী-সাংসদেরা। মঙ্গলের কর্মসূচি নিয়ে সোমবার বিকেলে বৈঠক হবে। দুদিনের কর্মসূচিতে সংসদ ভবন অভিযানও করা হবে বলেই পরিকল্পনা।