নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাজধানীর বায়ুদূষণ ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যাওয়ায় আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। রবিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী আতিশি। একই সঙ্গে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলগুলিতে অনলাইন ক্লাস চালুরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য বায়ুদূষণের কারণে গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কেজরিওয়াল সরকার।
প্রতি বছরই শীতের মরসুমের শুরুতে রাজধানীর বায়ুদূষণ সহনশীলতার বাইরে চলে যায়। কিন্তু চলতি বছরে পরিস্থিতি ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী কোন্ও অঞ্চলের বায়ু দূষণের মাত্রা ৩০০ বা তার বেশি হলেই সেই অঞ্চলের বাতাসকে জনসাধারণের জন্য ক্ষতিকর বলে ধরে নেওয়া হয়। আর দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা এখন ৪০০ ছাড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকেই পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। আনন্দ বিহার, বাওয়ানা, দ্বারকা সেক্টর, বুবারি ক্রসিং, মুন্ডকা, নজফগড়, সাদিপুর, ওয়াজিরপুর, রোহিনী, আর কে পুরমে একিউআই ৪০০ থেকে ৪৫০-এর সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। খড় পোড়ানো এবং প্রতিকুল আবহাওয়ার সাঁড়াশি চাপে পরিস্থিতি ভয়াবহ উঠছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা সতর্ক বার্তা জারি করে বলেছেন, ‘আগামী দু’সপ্তাহে বায়ুদূষণ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।’
বায়ুদূষণ রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি সরকার। ডিজেল চালিত লরির প্রবেশের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ জারি করার পাশাপাশি নির্মাণকার্য সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দূষণ রুখতে আতশবাজি ও পটকা ফাটানোর উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামিকাল সোমবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার। কিন্তু ওই ম্যাচ করা যাবে না কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। দূষণের হাত থেকে বাঁচতে আম আদমি ফের মাস্ক ব্যবহারও শুরু করেছেন।