নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পার্বত্য রাজ্য হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে প্রকৃতির প্রলয়। ভারি বর্ষণে ধ্বংসযজ্ঞ লেগেই রয়েছে। ধস, ভূমিফাটল, প্রাণহানি, বাড়িঘর ক্ষয়ক্ষতি হয়েই চলেছে। ২৪ জুন থেকে এখনও পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে ২১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৮ জন নিখোঁজ। ভূমিধসে ১০,০০০ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত। উত্তরাখণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ১৯ জন।
রবিবার থেকে হিমাচল প্রদেশে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ১৯ অগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী হিমাচল প্রদেশে বিপর্যয় ঘোষণা করেছে। পুনরুদ্ধারের জন্য ২,০০০ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। আবহাওয়া দফতরের মতে, এই বৃষ্টিপাত গত ৫০ বছরের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
সোমবার থেকে উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টি চলছে। বিভিন্ন স্থানে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঋষিকেশের গঙ্গার জলস্তর বেড়েছে। দেরাদুনের বিকাশনগর তহসিলের লাংগা জাখান গ্রামে ভূমিধসের কারণে ১৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে সেতু ভেঙে মন্দিরে আটকে পড়েছেন বহু ভক্ত। ২৯৩জন তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।