নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে ঘটা ঘটনা নিয়ে হস্তক্ষেপে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে মণিপুরের হিংসার সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনাকে তুলনা না টানতেও মামলাকারীর আইনজীবীকে পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতিরা। সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন থেকে শুরু করে কোনও দাবি থাকলে তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য আবেদনকারীকে নির্দেশ দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে মুখ পোড়ানোর পরেই তড়িঘড়ি আর্জি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিজেপি সমর্থক হিসাবে পরিচিত আবেদনকারী।
সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে আদালতের নজরদারিতে সিবিআই কিংবা সিট তদন্তের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন অলখ অলোক শ্রীবাস্তব নামে এক আইনজীবী। আর্জিতে সন্দেশখালির ঘটনাকে মণিপুরের জাতি হিংসার সঙ্গে তুলনা করা হয়। দোষী পুলিশ আধিকারিকদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের আতিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানানো হয়। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ভি নাগরত্না এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসি মামলা শুনতে রাজি হননি।
প্রাথমিক শুনানি শেষে আবেদনকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতিরা বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেছে। আপনি কলকাতা হাইকোর্টে আর্জি না জানিয়ে কেন সরাসরি শীর্ষ আদালতে হাজির হলেন? আপনার কোনও দাবি থাকলে কলকাতা হাইকোর্টে যান।’ এর পরে নাছোড়বান্দা আবেদনকারীর আইনজীবী অলখ অলোক শ্রীবাস্তব বলেন, ‘সন্দেশখালির অবস্থা মণিপুরের মতোই। মণিপুর হিংসায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিল শীর্ষ আদালত।’ এ কথা শুনেই খানিকটা চটে যান বিচারপতি বি ভি নাগরত্না। তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘মণিপুরের সঙ্গে সন্দেশখালির তুলনা টানবেন না। মণিপুরে কী হয়েছে তা সবাই জানে। আপনার যে দাবি তা সরাসরি হাইকোর্টে জানান। বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের অধিকার হাইকোর্টের রয়েছে।’ অবনস্থা বেগতিক বুঝেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেন আবেদনকারীর আইনজীবী।