নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মোদি-শাহ জমানায় মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে আর্বিভূত হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের(ইডি) আধিকারিকরা। তদন্তের নামে চরিত্রহনন আর মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে সংস্থার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরেই ইডির মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। এবার একই সুর শোনা গেল কেন্দ্রীয় সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিশিষ্ট আইনজীবী হরিশ সালভে’র গলায়। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে এক মামলার শুনানিতে ইডিকে দেওয়া ক্ষমতায় রাশ টানার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ইডির ক্ষমতার লাগাম না পরালে দেশের কোনও নাগরিকই যে নিরাপদ নন, তাও জানিয়ে দিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী।
গুরুগ্রাম ভিত্তিক আবাসন নির্মাতা সংস্থা এমথ্রিএমের বিরুদ্ধে অর্থ পচারের অভিযোগ এনে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। এমনকি সংস্থার দুই পরিচালক বসন্ত বনশল ও পঙ্কজ বনশলকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ইডির ওই গ্রেফতারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বহুতল আবাসন নির্মাণ সংস্থা। মঙ্গলবার বিচারপতি এ এস বোপ্পান্না এবং বিচারপতি এম এম সান্দ্রেশের আদালতে মামলার ইডির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলার শুনানি চলার সময়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তুলোধনা করেন আইনজীবী হরিশ সালভে।
তিনি বলেন, ‘ইডিকে অতিরিক্ত এবং ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যদি আদালত ওই সংস্থার ক্ষমতার ওপরে লাগাম না টানে তাহলে দেশের কেউই নিরাপদ নয়। কীভাবে আমার মক্কেলদের গ্রেফতার করা হয়েছে, একবার দেখলেই বোঝা যাবে কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে সংস্থা। তদন্তে সহযোগিতার পরেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অবশ্যই ইডির এই ক্ষমতায় লাগাম টানা উচিত।’