নিজস্ব প্রতিনিধি: শাহরুখ পুত্রের ড্রাগ পার্টি কাণ্ডে গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে থাকেন নবাব মালিক। ক্রমাগত দীর্ঘ একমাসের বেশি সময় ধরে কখনও বিজেপি আবার কখনও এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলতে থাকেন এনসিপি নেতা। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানান, দীপাবলির পর বড় খবর দেব। আর কথামতই নবাব মালিকের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন ফড়নবিশ। তিনি কাগজ দেখিয়ে জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক ১৯৯৩ বোম্বে বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের থেকে সম্পত্তি কিনেছেন। ফড়নবিশ সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘নবাব মালিক এক বেসরকারি কোম্পানি মারফত কুর্লাতে একটি সম্পত্তি কেনেন। যে কোম্পানির মালিক তাঁরই এক আত্মীয়। সম্পত্তিটি কেনা হয়েছিল ১৯৯৩ বোম্বে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সালিম পাটিল ও সর্দার সাধাব আলি খানের কাছ থেকে।’
ফড়নবিশ এও জানিয়েছেন, ‘আমি জাভেদ-সালিমের চিত্রনাট্য পড়ছি না। এটা ঘটেছে, ২০০৩-২০০৫ সালের মধ্যে। সালিম পাটিল ও হাসিনা পার্কার মুম্বইতে একটা সময় জমির সিন্ডিকেট চালাত দাউদের নির্দেশে। নবাব মালিকের পরিবারের তরফে যে সম্পত্তি কেনা হয়েছে তাঁর পাওয়ার অফ অ্যাটর্নিতে নাম রয়েছে সালিম পাটিলের। ২৫ টাকা প্রতি স্কোয়ার ফুটের জমি ১৫ টাকা করে মোট তিন একর সম্পত্তি কেনা হয়েছে। মোট ৩০ লক্ষ টাকার জমির দাম হলেও ২০ লক্ষ টাকায় তা কেনা হয়েছে। আর টাকা পাঠানো হয়েছে সালিম পাটিল ও এসএ খান-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।’ মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, এই সম্পত্তি কেনার একটাই কারণ বোম্বে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তির জমি-বাড়ি নিরাপদে রাখা। কারণ প্রত্যেক অভিযুক্তের নামেই টাডা অ্যাক্ট জারি ছিল। ফড়নবিশ এও জানিয়েছেন, ‘আমি সমস্ত তথ্য তদন্তকারী অফিসারদের কাছে পাঠাব। এমনকি এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের কাছেও পাঠাব।’
১৯৯৩ সালে বোম্বেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় গোটা দেশ নড়ে গিয়েছিল। একাধিক জায়গায় ২০০ কিলো আরডিএক্স ব্যবহার করে লাগাতার বিস্ফোরণ ঘটায় পাকিস্তান। যার ফলে কেঁপে ওঠে গোটা মুম্বই। বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়, বলি হয় একাধিক মানুষের। এবার সেই ঘটনার মূল অভিযুক্তদের সঙ্গে লেনদেনে নবাব মালিকের হাত রয়েছে বলে সরাসরি প্রমাণ দেখিয়ে দাবি করেছেন ফড়নবিশ। এর ফলে মহারাষ্ট্র সরকারের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।