নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে কৃষকদের ডাকা ভারত বনধে প্রভাবিত জনজীবন। বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। সমর্থন করেছে বিজেপি-বিরোধী সব রাজনৈতিক দল। কৃষকদের বনধকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস, বামপন্থী দলগুলি। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু দেশম পার্টি, আম আদমি পার্টিও এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে। বনধ সমর্থন সরাসরিভাবে না করলেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কৃষকদের পাষে দাঁড়িয়েছেন
বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত বছর থেকে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে দেশের অন্নদাতারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের যুক্তি, এই তিন আইন কৃষকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যেতে অন্নদাতাদের উস্কে দিচ্ছে বিরোধীরা। সরকারের এই দাবি যে নির্জলা মিথ্যে তার বড়ো প্রমাণ কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা বা নেত্রী এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন না। আর এই বনধের প্রভাব পড়েছে দেশের সর্বত্র।
ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। ৪০টির বেশি সংগঠনকে নিয়ে গঠিত সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ভারত বনধ কর্মসূচি শুরু হয় সোমবার সকাল ছ টা থেকে। বনধ ১২ ঘণ্টার। চলবে সন্ধ্য়া ৬টা পর্যন্ত। এই বনধ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশে। বিজেপি-বিরোধী সব রাজনৈতিক দল এই বনধকে সমর্থন করেছে। কৃষকদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ হবে শান্তিপূর্ণ। দেশজুড়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়েছে। বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কারখানা, দোকানপাট।