নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শুরু হয়েছে কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান। আর এই অভিযানের শুরুতেই বুধবার কৃষকদের উদ্দেশ্যে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ল হরিয়ানা পুলিশ। জাতীয় রাজধানীতে কৃষকদের ঢোকার পরিকল্পনা বানচাল করতে তারা কংক্রিট, লোডেড বাস, ট্রাক এবং শিপিং কন্টেইনার দিয়ে বোল্ডার স্থাপন করেছে।
কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের বলেছেন, ‘সারা বিশ্ব দেখবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছি। সরকার যদি মনে করে কৃষকদের হত্যা করে তাদের সমস্যার সমাধান হবে, তাহলে তারা তা করতে পারে। তবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাব।‘তিনি আরও বলেন, সহিংসতা হলে সরকার দায়ী থাকবে। শত শত ট্রাক্টর নিয়ে শম্ভু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের তীব্র সমালোচনা করে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট মঙ্গলবার বলেছে, ট্রাক্টর ট্রলি হাইওয়েতে ব্যবহার করা যাবে না।
পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট জানিয়েছেন, মোটরযান আইন অনুযায়ী মহাসড়কে ট্রাক্টর-ট্রলি ব্যবহার করা যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেব অনুযায়ী, শম্ভু সীমান্তে প্রায় ১৪ হাজার কৃষক, ১২০০ ট্রাক্টর ও ৩০০টি গাড়ি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, শস্যের ওপর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সুনিশ্চিত করতে আইন আনার দাবি জানিয়েছে কৃযকরা। পাশাপাশি স্বামীনাথন কমিশন যে সব প্রস্তাব দিয়েছে, তা কার্যকর করারও দাবি জানিয়েছে তাঁরা। সেইসঙ্গে লখিমপুর খেরিতে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল, তার সুবিচারও দাবি তুলেছে তাঁরা। শুধু তাই নয় সব ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টির দাবিতে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। সোমবার, আন্দোলনকারী কৃষকরা আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ফসলের উপর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কেন্দ্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। অন্যদিকে কৃষকদের ‘দিল্লি-চলো’ বিক্ষোভের আগে সিংঘু সীমান্তের কাছে নিরাপত্তা জোরদার করায় জিটি কারনাল রোডে যানজট দেখা গিয়েছে।