নিজস্ব প্রতিনিধি, পাটনা: বাবা সরকারি কর্মী। সেই সুবাদে মোটা টাকার বেতন পেতেন। আর বেতনের অর্ধেকের বেশি টাকা খরচ করতেন মাদকের পিছনে। কোনও কারণে বাবাকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হলে বাড়ির পরিস্থিতি এক লহমায় বদলে যায়। রীতিমতো অভাব-অনটন তৈরি হয়। সংসার চালানোর খরচ, ছেলে-মেয়েদের বড়ো করে তোলা – সব দায়িত্ব গিয়ে পড়ে মায়ের ওপর।
সব কিছু দেখার পরেও বাবা নিরুত্তাপ। মাদকের প্রতি নেশা তার আর যায় না। একসময় ছেলে ঠিক করে বাবাকে সে খুনই করে দেবে। যে মানুষ সংসারের প্রতি দায়িত্ব পালন করে না, স্ত্রীকে দেখে না, উল্টে স্ত্রীর ঘাম ঝরিয়ে আয়ের থেকে মাদক কেনার টাকা চায়, তার বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো।
কোনও এক অজানা কারণে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। ঠিক করে মাকে সাহায্য করার। আর পড়াশোনার জন্য খরচের ব্যবস্থার। প্রতিকূল পরিবেশের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল কিশোরটি। স্বপ্ন দেখে আইপিএস হওয়ার, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার নয়। শুরু হয় লড়াই। সেই লডা়ইয়ে জিতে গিয়েছে তরুণ। আজ সে আইপিএস। পোস্টিং বিহারের সহর্সের কোশিতে।পাঠকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক এই তরুণ আইপিএসের।
এই আইপিএসের নাম শিবদীপ ল্যান্ডে। সম্প্রতি তাঁর লেখা একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইয়ের শিরোনাম – ওম্যান বিহাইন্ড দ্য লায়ন। গ্রন্থপ্রকাশ অনুষ্ঠানটি হয় রবিবার। সেখানে শিবদীপ তুলে ধরেন তাঁর বড় হয়ে ওঠার কাহিনি। তার এই লড়াইয়ের গল্প যে সকলকে অনুপ্রাণিত করবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।