নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: কথায় বলে, ‘রাজায়-রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়’। কাকা শরদ পওয়ারের সঙ্গে ভাইপো অজিত পওয়ারের লড়াইয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন এনসিপির বিধায়করা। বিধানসভার চলতি অধিবেশনে কোন আসনে বসবেন তা বুঝতেই পারছেন না। যিনি পরিষদীয় দলনেতা পদে রয়েছেন সেই অজিত পওয়ার দলীয় বিধায়কদের হুইপ জারি করে বলেছেন, ‘ট্রেজারি বেঞ্চের বিধায়কদের সঙ্গে বসতে হবে। কেননা, দল সেনা-বিজেপি জোট সরকারের শরিক।’ উল্টোদিকে দলের মুখ্যসচেতক জিতেন্দ্র আহাদ দলীয় বিধায়কদের চিঠি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আগের মতোই বিরোধি দলের জন্য নির্দিষ্ট আসনেই বসতে হবে।’ দলনেতা আর মুখ্যসচেতকের কাছ থেকে দুই বিপরীতমুখী নির্দেশ পেয়ে ঘাবড়ে গিয়েছেন অনেক এনসিপি বিধায়ক।
গত ২ জুলাই আচমকাই বিদ্রোহ ঘোষণা করে দলীয় বিধাযকদের একাংশকে নিয়ে সেনা-বিজেপি জোট সরকারে যোগ দিয়েছিলেন অজিত পওয়ার। দল ভাঙার পুরস্কার হিসেবে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদও পেয়েছেন। আর ওই বিদ্রোহের পর পওয়ার গোষ্ঠী ও অজিত গোষ্ঠি নিজেদের আসল এনসিপি বলে দাবি করছেন। যদিও এখনও এ বিষয়ে কোনও ফয়সালা হয়নি। শরদ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বিধানসভায় দলনেতার পদ থেকে আজিতকে সরানোর কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে অধৃক্ষের কাছে। অন্যদিকে অজিত গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে মুখ্যসচেতক পদ থেকে জিতেন্দ্র আহাদকে সরানোর কতা জানিয়ে পাল্টা চিঠি দেওয়া হয়েছে।
দুই পক্ষের মধ্যে চিঠি-পাল্টা চিঠির লড়াই চলার মধ্যেই গতকাল রবিবার আচমকাই শরদ পওয়ারের কাছে হাজির হয়েছিলেন অজিত পওয়ার-সহ এনসিপি’র বিদ্রোহী নেতারা। বিজেপিকে সমর্থনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন এনসিপি সুপ্রিমো। জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি বিরোধিতার পথ তেকে এক বিন্দু সরবেন না।