নিজস্ব প্রতিনিধি: হিন্দু হয়ে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের (Haridwar) পিরান কালিয়ারের মসজিদে (Piran Kaliyar mosque) নামাজ পড়ার কারণে ডানপন্থী গোষ্ঠীর হুমকির মুখে পড়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বাসিন্দা ২২ বছরের এক তরুণী। এরপর বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। অবশেষে মসজিদে নামাজ পড়তে আগ্রহী ওই তরুণীকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার স্থানীয় থানার ইনচার্জকে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণী মধ্যপ্রদেশের নিমুচের বাসিন্দা। হরিদ্বারের ৩৫ বছরের এক যুবকের সঙ্গে গত দু বছর ধরে রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ওই তরুণীর সঙ্গে যৌথভাবে আদালতে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন ওই যুবক। আবেদনে তাঁরা অভিযোগ করেন, কিছু লোকজনের কাছ থেকে তাঁরা হুমকি পাচ্ছেন। সেই আবেদনের পর বৃহস্পতিবার তরুণীকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কেন তিনি হিন্দু হয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে চান, তা জানতে চায় আদালত। বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে তরুণী জানান, তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেননি বা কোনও মুসলিম যুবককে বিয়ে করেননি। কিন্তু পিরান কালিয়ার মসজিদ পরিদর্শনের পর আমি জায়গাটিকে পছন্দ করি, আর সেই কারণে আমি সেখানে নামাজ পড়তে চেয়েছি। এ ছাড়া অন্য কোনও কারণ নেই। প্রসঙ্গত ওই তরুণী এবং তাঁর সঙ্গী পুরুষ বন্ধুটি ভিন ধর্মের। দুজনে হরিদ্বারে একটি ওষুধ সংস্থায় কাজ করেন।
তরুণীর আইনজীবী শীতল সেলওয়াল জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতি মনোজ কুমার তিওয়ারি এবং বিচারপতি পুরোহিতের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে তরুণীকে পিরান কালিয়ার থানায় আবেদন জানাতে হবে। আগামী ২২ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।