এই মুহূর্তে




দুঃসংবাদ, দ্রুত গলছে হিমালয়ের হিমবাহ, চরম জল সঙ্কটের মুখোমুখি ২০০ কোটি




নিজস্ব প্রতিনিধি: ৮,৮৪৮ মিটার উচ্চতা-সহ, মাউন্ট এভারেস্ট হল পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। ধীরে ধীরে গলছে হিমবাহ। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ২০০ কোটি মানুষ। ভারতেও এর প্রভাব পড়বে। কারণ উষ্ণ জলবায়ুর প্রভাব থেকেও রক্ষা করতে পারছে না হিমালয়ের উচ্চতা। ১৯৯০ দশকের শেষে এভারেস্টের সর্বোচ্চ হিমবাহ, সাউথ কোল ৫৪ মিটারেরও বেশি সঙ্কুচিত হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, হিমালয়ের হিমবাহগুলি দ্রুত গলতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের (ICIMOD) ক্রায়োস্ফিয়ার বিশেষজ্ঞ শরদ জোশী। তিনি আরও জানিয়েছেন, হিমবাহ গলতে শুরু করেছে।

যার ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। এবং জলের অভাব শোচনীয় পর্যায়ে চলে যাবে। হিন্দুকুশ হিমালয় অঞ্চল আটটি দেশজুড়ে বিস্তীর্ণ। ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক ঠান্ডা-গরম তাপমাত্রা এবং স্থানীয় আবহাওয়ার কারণে এই হিমবাহগুলি গলতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাতের ধরন বদলে গিয়েছে। যার জন্যে দায়ী মানুষ, অনিয়মিত অত্যাচারের কারণে পরিবেশের দূষণ হচ্ছে। যার ফলে বৃষ্টিপাতের মাত্রা কমে গিয়েছে সমভূমিতে। অন্যদিকে উচ্চভূমিতেও বৃষ্টিপাত বেশি এবং তুষারপাত কম হয়। ICIMOD-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে হিন্দুকুশ হিমালয়ের প্রায় ৫৬,০০০ হিমবাহ আগের দশকের তুলনায় ৬৫% গলে গিয়েছে। তবে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ হিমবাহ ৮০% শতাংশ গলে যেতে পারে। নেপালের ল্যাংটাং উপত্যকায় অবস্থিত, ইয়ালা হিমবাহ দেশের সবচেয়ে বেশি অধ্যায়ন করা হিমবাহ গুলির একটি। ক্রায়োস্ফিয়ার বিশেষজ্ঞ শরদ জোশী জানিয়েছেন, ২০-২৫ বছরের মধ্যে ইয়ালা হিমবাহ অদৃশ্য হয়ে যাবে। কারণ ইতিমধ্যেই ইয়ালা হিমবাহের এক-তৃতীয়াংশ গলে গিয়েছে।

এটি হিমালয় অঞ্চলের একমাত্র হিমবাহ যা সম্প্রতি বিলুপ্ত বা বিপন্ন হিমবাহের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। আর এই হিমবাহ গলনের ফলে ভারতে এর বিশাল প্রভাব পড়বে। বাস্তুতন্ত্রের উপর একাধিক প্রভাব পড়ছে। প্রোগ্লাসিয়াল হ্রদ তৈরি হবে। যেগুলি বরফ বা ধ্বংসাবশেষ দিয়ে তৈরি প্রাকৃতিক বাঁধ দ্বারা বেষ্টিত, যাকে মোরেন বলা হয়। ভূমিধস বা ভূমিকম্পের কারণে এই বাঁধগুলি ভেঙে যাবে। যার ফলে বন্যায় ভেসে যাবে গ্রাম, রাস্তাঘাট, সেতু, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং অন্যান্য অবকাঠামোগুলি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে, হিমালয় অঞ্চলের দক্ষিণ লোনাক হ্রদে ভূমিধসের ফলে ২০ মিটার উচ্চতার সুনামির মতো ঢেউ তৈরি হয়েছিল। যাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। প্রায় ৫৫ জন নিহত হয়েছিলেন এবং ৭০ জন নিখোঁজ হন। তাই হিমবাহ গলে যাওয়ার প্রভাব আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে সমানভাবে তীব্র। হিমালয়ের হিমবাহগুলি গঙ্গা এবং হলুদ নদী সহ বিশ্বের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নদী অববাহিকায় জল সরবরাহ করে। প্রায় দুই বিলিয়ন মানুষ হিমালয়ের হিমবাহ এবং তুষারের জলের উপর নির্ভরশীল। হিমবাহের পতন নদীর প্রবাহকে হ্রাস করবে। যা কৃষির ক্ষতি করবে। পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেবে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চেনেন কী ‘মৌমাছির দেবী’কে? জেনে নিন দেবী ভ্রামরীর অজানা কাহিনি

জেনে নিন, মহাবিশ্বের সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়ের নিয়ন্ত্রক শক্তি ভুবনেশ্বরীর মাহাত্ম্য

পাকিস্তানি আরও এক দূতকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ

সাইফুল্লাহর শোকসভায় ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পাক সেনার

ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে ‘আল্লাহ কে বান্দে …’ গেয়ে হিন্দুত্ববাদীদের হেনস্থার শিকার হিন্দু শিল্পী

রামমন্দিরের নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ জুনের মধ্যে, রাম দরবারের প্রাণ প্রতিষ্ঠা ৫ জুন

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ