নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অপহরণ হলেন টিভি অ্যাঙ্কর। এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন হায়দ্রাবাদের একজন মহিলা ব্যবসায়ী। এই ঘটনার পরেই হায়দ্রাবাদের ওই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই মহিলার পাঁচটি স্টার্টআপ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর তৃষা রেড্ডি।
ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে তিনি প্রথম টেলিভিশন অ্যাঙ্কর প্রণব সিস্টলাকে দেখেন বছর ৩১-এর যুবতী তৃষা। সঞ্চালককে দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্টক’ করছিল ওই যুবতী। শুধু তাই নয় তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে কথাবার্তা। টানা ২ বছর কথাবার্তা চলার পর ওই যুবতী বুঝতে পারেন তিনি ওই টেলিভিশন অ্যাঙ্কর প্রণব সিস্টলারের সঙ্গে কথা বলছেন না। বরং তাঁর ছবি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে ব্যবহার করে অন্য কেউ কথা বলছে। এটি বুঝতে পেরেই পুরো ঘটনাটি জানাতে টেলিভিশন অ্যাঙ্কর প্রণব সিস্টলার ফোন নম্বর খুঁজে বের করেন তৃষা। এরপরেই ম্যাসেজ করে তৃষা ভুয়ো অ্যাকাউন্টের কথাটি জানান।
তৃষার কাছ থেকে তা শুনেই প্রণব পুলিশের সাইবার ক্রাইমের কাছে এই পুরো ঘটনাটি জানায়। এরপরেই ওই যুবতী লাগাতার ওই অ্যাঙ্করকে ম্যাসেজ করতে থাকে। তাই বাধ্য হয়ে তৃষাকে ব্লক করে দেন প্রণব। স্বাভাবিকভাবেই তাদের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় কথাবার্তা। তারপর ওই যুবতী অ্যাঙ্করকে অপহরণ করার পরিকল্পনা নেয়। কারণ অপহরণ করে এনেই অ্যাঙ্করকে বিয়ের প্রস্তাব দেবে বলে ঠিক করে তৃষা। সেইজন্য অ্যাঙ্করের গতিবিধি নজর রাখতে তাঁর গাড়িতে জিপিএস বসিয়ে দেয় তৃষা। গত ১১ ফেব্রুয়ারি চার ব্যক্তি তৃষার নির্দেশেই অ্যাঙ্করকে অপহরণ করে। এরপরেই তৃষা তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রথমে রাজি না হলে পরে প্রণব প্রস্তাবটি মেনে নেয়। এই ঘটনার পরেই প্রণব পুরো ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তৃষা সহ চারজনকে গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা।