নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদান কখনও ভোলার নয়। এদেশে এলেই সেই স্মৃতির আবেগে ভাসি। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চিরকালীন। মঙ্গলবার সকালে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে সেনার গার্ড অফ অনার গ্রহণ করার পর আবেগপ্লুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন । হাসিনার চারদিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ সকলের নজরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক। বেলা ১১টায় হায়দরাবাদ হাউসে হবে বৈঠক। তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়েই যাবতীয় কৌতূহল রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। লাল গালিচায় শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। হাসিনার ক্রিমরঙা ঢাকাই শাড়ি, সানগ্লাসে লাল গালিচায় তাঁর উপস্থিতি আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। মোদির পরনে ছিল সাদা কুর্তা-পাজামা-জ্যাকেট। একে অপরের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শেখ হাসিনা। বলেন, ”ভারত আমাদের বন্ধু। যখনই এখানে আসি, তখন মনে পড়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা। আমাদের মধ্যে বরাবর বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সবসময় একে অপরের পাশে থেকেছি।” ইংরাজি-হিন্দি-বাংলা, তিন ভাষাতেই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন তিনি। হিন্দিতে তিনি যে পটু নন, তা জানিয়ে হাসিনা বলেন, ”যখন ভারতে ছিলাম, তখন হিন্দি শিখেছি। বলা হয় না। অভ্যাস নেই। আজ একটু বলার চেষ্টা করলাম।”
এবারের সফর নিয়ে তিনি যে আশাবাদী, তাও বোঝালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ”আশা করি, আমাদের অর্থনৈতিক বিকাশের স্বার্থে আজকের আলোচনা যথেষ্ট ফলপ্রসূ হবে। আমার দেশের মানুষের যা যা প্রয়োজন, তা বলব। আমি মনে করি, বন্ধুত্ব দিয়ে সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়। সেটাই আমরা করতে চাই।”