নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিজেপির সঙ্গ ছাড়লেন নীতীশ কুমার। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের কাছে ইস্তফাপত্র তুলে দেন তিনি। আর ইস্তফা দেওয়ার পরেই রাজভবন ছেড়ে সোজা চলে যান আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের বাড়িতে। ইস্তফার পরেই পুরনো জোট শরিক বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন নীতীশ। তাঁর কথায়, ‘বিজেপির সঙ্গে কাজ করা মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। দলের অধিকাংশ সাংসদ ও বিধায়ক চাইছিলেন বিজেপির সঙ্গ ছাড়ি। দলের নেতাদের সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েছি।’
এদিন সকালেই জেডিইউয়ের সাংসদ-বিধায়কদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এনডিএর সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দেওয়া হবে। আর সেই সিদ্ধান্তের পরেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন নীতীশ কুমার। সেই সঙ্গে নতুন সরকার গঠনের জন্য আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গেও কথা বলেন। অতীতের তিক্ততা ভুলে বিজেপির খপ্পড় থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়া নীতীশকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেন লালু পুত্র।
বিকেলে ইস্তফা দেওয়ার পরে তেজস্বীর বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেন বিহারের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন লালু-পত্নী রাবড়ি দেবীও। বৈঠক শেষে নীতীশের সঙ্গে তেজস্বী যাদব ও কংগ্রেস নেতা ভক্তচরণ দাস মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হাজির হন। সূত্রের খবর, মোট ১৬০ বিধায়কের সমর্থনপত্র রাজ্যপালের কাছে তুলে দিয়ে নতুন করে সরকার গঠনের দাবি জানাতে তিনজনেই ফের রাজভবনে যাচ্ছেন। এদিন নীতীশ ফের কংগ্রেস ও আরজেডির সমর্থনে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিতেই এনডিএ ছেড়ে মহাজোটকে সমর্থন জানানোর কথা ঘোষণা করেছেন হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চার সুপ্রিমো তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝি। তিনি জানিয়েছেন, বিনা শর্তেই নীতীশৈর নতুন সরকারকে সমর্থন জানাবেন দলের চার বিধায়ক।