নিজস্ব প্রতিনিধি, গুজরাত : নিজের ডেপুটিকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার মোদি-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতে গিয়ে এই দাবি করেন তিনি। অতিসম্প্রতি মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি করে সিবিআই। ঘটনাক্রমে এদিনই বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে টুইট করে সিসোদিয়া জানান, তাঁর কাছে প্রস্তাব এসেছিল যে, আপ ভেঙে বিজেপিতে নাম লেখান। তাহলেই সব মামলা থেকে মুক্তি মিলবে। এরপরই কেজরিওয়াল তাঁর ডেপুটিকে ভারতরত্ন দেওয়ার সওয়াল করলেন।
এবছরের ডিসেম্বরে গুজরাত বিধানসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে এবার বিজেপিকে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলতে চায় আপ। তাই ঘনঘন মোদির রাজ্যে যাচ্ছেন কেজরিওয়াল। এদিনও তিনি গুজরাতে আসেন। এনিয়ে গত একমাসের মধ্যে পাঁচবার গুজরাতে এলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি মণীশ সিসোদিয়াকে সিবিআইয়ের ‘হেনস্থা’ নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে মানুষটা রাজধানী দিল্লিতে শিক্ষার মান উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করেছে, তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে হেনস্থা করছে সিবিআই। এটা আমাদের সবার লজ্জা। ওঁকে ভারতরত্ন দেওয়া উচিত। কেন্দ্রের উচিত, শিক্ষার মানোন্নয়নে সিসোদিয়ার পরামর্শ নেওয়া।’
কেজরিওয়াল-সিসোদিয়া জুটি দিল্লিতে বিজেপির পক্ষে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ডেপুটিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেওয়ার আগে সম্প্রতি সিসোদিয়া কেজরিওয়ালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছিলেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদির প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন কেজরিওয়ালই বলে মন্তব্য করেন তিনি। কেজরিওয়ালই প্রধানমন্ত্রীর মুখ বলে তুলে ধরেছিলেন।
গুজরাতে গত বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফল করেছিল আপ। ২৯টি আসনে প্রার্থী দিয়ে সব ক’টিতেই জামানত খুইয়েছিল আম আদমি পার্টি। কিন্তু গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সুরাত পৌর নির্বাচনে চমকে দেওয়া ফল করে আপ। বিজেপি ৯৩টি আসন পেলেও আপের ঝুলিতে যায় ২৭টি আসন। এই পরিস্থিতিতে এবার গুজরাতে ভালো ফল করতে মরিয়া আপ। এক্ষেত্রে সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআইয়ের হানাকে কাজে লাগাতে চায় আপ। কারণ দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর একটি স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে। তাই তাঁকে দুর্নীতির অভিযোগে হেনস্থার বিষয়টিকে তুলে ধরে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করতে চায় আপ।