নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই মুড়ি-মুড়কির মতো বিরোধী শিবিরের নেতারা বিজেপিতে নাম লিখিয়ে চলেছেন। তথ্য বলছে, যাদের বিরুদ্ধে তিন কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি, সিবিআই ও আয়কর তদন্ত চালাচ্ছে, তারাই জেলের ভয়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন। রবিবার বিরোধী শিবিরের নেতাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে ইডি, সিবিআই আর আয়কর দফতরকে খোঁচা দিয়েছেন শরদ পওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। এক বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যঙ্গের সুরে বলেছেন ‘আইসের ভয়ে বিরোধী নেতারা বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন।’
তবে এই আইস কিন্তু বরফ নয়। এই আইস হলো মোদি জমানায় বিরোধীদের দমনে বিজেপি নেতৃত্বের হাতিয়ার হয়ে ওঠা তিন কেন্দ্রীয় সংস্থা। আয়কর দফতর, সিবিআই ও ইডির প্রথম তিন আদ্যাক্ষর হচ্ছে আই, সি ও ই। এই তিন আদ্যাক্ষর জুড়লে যে শব্দ মিলছে তা হলো-আইস। এদিন শরদ কন্যা বলেন, ‘বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাতে আইসকে (আয়কর, সিবিআই ও ইডি) ব্যবহার করছে বিজেপি নেতৃত্ব। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বানের বিরুদ্ধে ইডি ও সিবিআই তদন্ত চলছিল। ওই তদন্তের ভয় দেখিয়ে তাকে দলে টেনেছে বিজেপি। কেউ স্বেচ্ছায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না। ভয়ে নাম লেখাচ্ছেন।’
আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে গত বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ওই গ্রেফতারি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শরদ কন্যা। তাঁর মতে, ‘বিজেপি গণতন্ত্রকে খুন করেছে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে নখদাঁত নিয়ে ঝাঁপিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী নেতাদের জেলে পোরার এক গভীর ষরযন্ত্র চলছে।’ এনসিপিতে ভাঙন ধরার পরে বারামতীতে পওয়ার পরিবারের দুই সদস্য ভোটযুদ্ধে মুখোমুখি হচ্ছেন বলে জল্পনা চলছে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের স্ত্রী বিজেপি জোটের হয়ে প্রার্থী হচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও বৌদির প্রার্থী হওয়াকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না শরদ কন্যা।