নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বুকে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা যতই লম্ফঝম্ফ করুন না কেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে যে তাঁদের সেভাবে কোনও দাম নেই সেটা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল উত্তরাখণ্ডের ভোট। উত্তরপ্রদেশ ঘেঁষে থাকা সেই রাজ্যে বিজেপির হয়ে যে সব তারকা নেতাদের প্রচারক হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে সেখানে নাম নেই বাংলার এই তিন হেভিওয়েট বিজেপি নেতার। অথচ সেই তালিকায় নাম রয়েছে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। লকেট বিগত কয়েক মাস ধরেই উত্তরাখণ্ডে পড়ে থেকে দলের সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে কাজ করে চলেছেন। বিজেপিতে সাধারনত পর্যবেক্ষকদের প্রচারকের দায়িত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু সেই প্রথা ভেঙে লকেটকে তুলে ধরা হয়েছে সেখানে প্রচারক হিসাবে। অথচ একবারের জন্যও সেখানে ভোট প্রচারের জন্য ডাকা হয়নি দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে।
বিজেপির তরফে শনিবার উত্তরাখণ্ডের দলের তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে সেই তালিকায় যেমন নাম রয়েছে মোদি-শাহ-নাড্ডার, তেমনি নাম রয়েছে যোগী আদিত্যনাথ, রাজনাথ সিং, নিতীন গাদকারির। তালিকায় মহিলাদের মধ্যে লকেটের পাশাপাশি রয়েছেন স্মৃতি ইরানী, রেখা ভার্মা, মালা রাজলক্ষ্মী শাহও। প্রচারক হিসাবে ওই তালিকায় নাম রয়েছে প্রহ্লাদ যোশীর, শিবরাজ সিং চৌহাণ, রমেশ পোখরিয়াল, মনোজ তিওয়ারি ও সত্যপাল মাহারাজেরও। অথচ লকেট ভিন্ন বাংলার কোনও বিজেপি নেতা বা জনপ্রতিনিধিদের সেখানে ভোট প্রচারের জন্য ডাকা হয়নি। উত্তরাখণ্ডে হরিদ্ধার ও ঋষিকেশের মতো বেশ কিছু জেলায় বাঙালি ভোটারের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। বেশ কিছু বিধানসভা কেন্দ্রের বাঙালিরাই সেখানে ডিসাইডিং ফ্যাক্টার হয়ে ওঠেন। অর্থাৎ তাঁদের ভোটের ওপর নির্ভর করে সেই বিধানসভা কেন্দ্রে কে জিতবে সেই বিষয়টি। মনে করা হচ্ছে লকেটকে দিয়ে ওই সব এলাকাতেই ভোট প্রচার করাতে পারে বিজেপি। অথচ সেই সব বাঙালিদের কাছে প্রচারের জন্য ডাক পড়ছে না দিলীপ-সুকান্ত-শুভেন্দুদের। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার জেরে বঙ্গ বিজেপিতেই প্রশ্ন উঠেছে লকেটের থেকে এই ৩ নেতার গ্রহণযোগ্যতা কী খুবই কম? অন্তত বাংলার বাইরে? নাকি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আর তাঁদের পছন্দ করছেন না তাই মোদি-শাহ-যোগী-নাড্ডার নামের পাশে লকেটের নাম থাকলেও দিলীপ-সুকান্ত-শুভেন্দুর নাম রাখা হয়নি!