নিজস্ব প্রতিনিধি : অসমে লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে এসে তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দিলেন, এবারে তো তিনি ট্রায়াল দিতে এসেছেন। এখনও পর্যন্ত ফাইনাল খেলা বাকি রয়েছে। তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল অসমে সব আসনে লড়বে।
এদিন শিলচরে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলচর লোকসভা কেন্দ্রে এবারে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন রাধেশ্যাম বিশ্বাস। রাধেশ্যামের সমর্থনে প্রচার করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আপনারা আমার প্রার্থী রাধেশ্যাম ও অন্যান্যদের জেতান। আমি কথা দিচ্ছি বিধানসভা ভোটে তৃণমূল অসমে সব আসনে প্রার্থী দেবে।‘ একইসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী এদিন জানিয়ে দেন, ‘তৃণমূল আসলে এবারে অসমে চারটি আসনে লড়ছেন। এটা তো সবে ট্রায়াল দেখছেন। এখনও পর্যন্ত ফাইনাল খেলা বাকি। আমি আবার অসমে আসব।‘ এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সুস্মিতা দেবকে সঙ্গে নিয়েও প্রচার সারতে দেখা যায় মমতাকে। অসমবাসীর আবেগের কথা মাথায় রেখেই তৃণমূল নেত্রী জানান, অসমের মেয়ে সুস্মিতা দেব এখন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য। ওকে আমরা রাজ্যসভায় পাঠিয়েছি। এরজন্য আমরা গর্বিত।
এদিন তৃণমূল সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের মতো একাধিক প্রকল্পের সুবিধার কথা উঠে এসেছে তৃণমূল নেত্রীর ভাষণে। তৃণমূল নেত্রীর দাবি, বিজেপির শাসনে এই সুবিধা পাবেন না অসমের মানুষ। যদি এই সব সুবিধা পেতেই হয়, তাহলে তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে। উল্লেখ্য, শিলচর ছাড়াও বরপেটা, লখিমপুর ও কোকরাঝাড়েও প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। বরপেটায় তৃণমূলের প্রার্থী হলেন আব্দুল কালাম আজাদ, লখিমপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন ঘনকান্ত চুতিয়া ও কোকরাঝাড়ে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন গৌরীশঙ্কর শরনিয়া।