নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: এবার দু লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতব। এই নিয়ে চতুর্থবার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পাবো। উন্নয়নের কাজ এবং এমপি ল্যান্ডের অর্থ দিয়ে এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পে যেসব কাজ তাতে সবাইকে পেছনে ফেলে একজন সাংসদ হয়ে আমি এগিয়ে গিয়েছিলাম গোটা দেশে এক নম্বরে। সারাদেশে এম পি ল্যান্ডের টাকা খরচে এক নম্বর স্থান অধিকার করতে গত পাঁচ বছরে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। একটুর জন্য এক নম্বর স্থান অধিকার করতে পারিনি। উড়িষ্যার এক সাংসদ কিছু ডকুমেন্টস আগে জমা দিয়ে দেওয়ায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন। কিন্তু দ্বিতীয় স্থানে আমি রয়েছি।আমার উন্নয়নের কাজ এবারের বারাসত নির্বাচনে সবচেয়ে বড় প্রচারের হাতিয়ার।
সোমবার মধ্যমগ্রামের(Madhyamgram) বাঁদুতে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদার(Kakali Ghosh Dostidar)। তিনি বলেন বারাসতের শেঠ পুকুরের উন্নয়ন থেকে পায়োনিয়ার পার্ক এলাকায় মুক্ত মঞ্চ গড়ে তোলা সবই তিনি সাংসদ তহবিলের অর্থ ব্যয় করছেন। আগামী দিন বারাসতের বুকে যে মুক্তমঞ্চ করে উঠবে তা আলাদা মাত্রা বহন করবে। রঙিন আলো সঙ্গে মিউজিক্যাল ফোয়ারা সাংস্কৃতির বিশেষ পরিবেশ গড়ে তুলবে।কলকাতা বিমানবন্দর থেকে মাইকেল নগর হয়ে যে মেট্রোরেল পৌছবে, তার জন্য তিনি সব থেকে বেশি উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কাকলি ঘোষ দস্তিদার দাবি করেন, বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় এই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে মাইকেল নগর হয়ে নতুন মেট্রোরেলের রুটের কথা তিনি সংসদে ঘোষণা করেছিলেন। সেই ঘোষণাকে বাস্তবে রূপ দিতে বারাসতের তৃণমূল সাংসদ বিগত চার বছরে প্রায় এক হাজার বার রেল দফতরে দরবার করেছিলেন। সেই বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভা এবং সন্দেশখালির মহিলাদের জড়ো করে নিয়ে আসার বিষয়টিকে ,কোনো ইস্যু না থাকায় বিরোধীদের কুৎসার ইস্যু তৈরীর প্রয়াস বলে তিনি দাবি করেন।
সন্দেশখালির ঘটনাকে মিডিয়ার মাধ্যমে নানাভাবে অপপ্রচার করে শাসক দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চাইছে বিজেপি ।এই অভিযোগ করেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তার আরোও দাবি, সন্দেশখালিতে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে তার থেকে অনেক বেশি করে এবং কুৎসা ও অপপ্রচার করে নির্বাচনে হাতিয়ার করতে চাইছেন বিরোধীরা। তবে সন্দেশখালি ছায়া বারাসতে উন্নয়নের ঢেউয়ে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে নিশ্চিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। বারাসতের বিরোধীপক্ষ কে আইএসএফ নাকি বিজেপি? এই প্রশ্নের উত্তরে কাকলি ঘোষ দস্তিদার স্পষ্ট বক্তব্য তার কাছে কোন বিরোধী ফ্যাক্টর নয়। কারণ তিনি সারা বছর মানুষের উন্নয়নের কাজ করেন। মানুষের উন্নয়ন যাতে হয় সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। মুক্ত মঞ্চ থেকে মেট্রোরেল (Metro Rail)বারাসতের শেঠ পুকুর থেকে কদম্বগাছি, রাজারহাট, নিউ টাউন সর্বত্র সাংসদ তহবিলের টাকা যেভাবে তিনি উন্নয়নের জন্য সাংসদ তহবিলের অর্থ পৌঁছে দিয়েছেন তাতে তিনি তার জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। তৃণমূল প্রার্থীর দাবি সমালোচনা হোক কিন্তু সেই সমালোচনা অবশ্যই হতে হবে গঠনতান্ত্রিক অর্থাৎ পজেটিভ।
আগামী দিন তিনি সাংসদ হয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর ফের উন্নয়নের ঢেউ বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের কোনায় কোনায় পৌঁছে দিতে ব্রতি হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেকোনো রাজনৈতিক লড়াইয়ে পাশে থাকা এবং আন্দোলনের সহকর্মী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মন্তব্য, মানুষের উন্নয়নে কিভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করেন প্রতিনিয়ত তা দেখে তিনি অনুপ্রাণিত। বারাসতে তাই বিরোধীরা নির্বাচনী প্রচারে ইস্যু খুঁজে না পেয়ে কখনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কু শব্দ প্রয়োগ করে খবরের শিরোনামে আসছেন। আবার কখনো বা কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু এই যাবতীয় কুৎসা চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার চতুর্থ বার নির্বাচনের ফলাফলে ২ লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতবেন বলে আগাম ভবিষ্যৎবাণী করে দেন। সাংবাদিকদের কাকলি ঘোষ দস্তিদার আরো জানান, তিনি তার কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে প্রচারে পৌঁছাচ্ছেন। কোথাও বুথ মিটিং, কোথাও নির্বাচনী জনসভা কোথাও আবার মিছিলে বিরোধীদের কুৎসার বদলে উন্নয়নের বার্তাকে সামনে রেখে আশীর্বাদ নিতে পৌঁছে যাচ্ছেন ভোটারদের দরজায় দরজায়। আর এই সব প্রেরণা তিনি পেয়েছেন তার শিক্ষাগুরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে।