নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কর্নাটক বিধানসভা ভোটের প্রচারে কার্যত পরস্পরের বিরুদ্ধে কদর্ষ ভাষায় আক্রমণ শানাচ্ছেন যুযুধান শিবিরের নেতা-নেত্রীরা। বিপক্ষের নেতা-নেত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে গিয়ে ‘বিষাক্ত সাপ’, ‘বিষকন্যা’, ‘নালায়েক বেটে’র মতো শব্দ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর রাজনৈতিক দলগুলির নেতা-নেত্রীদের মুখে ভাষা সন্ত্রাসের ঘটনায় মঙ্গলবার নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন। তড়িঘড়ি অ্যাডভাইজরি জারি করে রাজনৈতিক দলগুলির নেতা-নেত্রীদের ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংযত হওয়ার পরামর্শ দিলো। এই প্রথম কোনও রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রচারে নেতা-নেত্রীদের ভাষা ব্যবহার নিয়ে অ্যাডভাইজরি জারির রাস্তায় হাঁটল কমিশন।
আগামী ১০ মে কর্নাটকে বিধানসভার ভোট। আর সেই ভোটকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার তুঙ্গে উঠেছে। কিন্তু ভোট প্রচারে রাজনৈতিক আক্রমণের পরিবর্তে ব্যক্তিগত আক্রমণেই বেশি ব্যস্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তারকা প্রচারক থেকে শুরু করে নেতা-নেত্রীরা। ইতিমধ্যেই পরস্পরের বিরুদ্ধে ভাষা-সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি-কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর নালিশের বহর দেখেই নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন।
এদিন এক বিবৃতিতে কমিশনের পক্ষ থেকে কর্নাটকে ভোটের ময়দানে থাকা রাজনৈতিক দলগুলিকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন একটা উৎসব। ভাষা ব্যবহার আর শব্দ চয়ন যাতে ওই উৎসবকে মাটি না করে দেয় তার দিকে বিশেষ নজর রাখুন। নিম্নমানের ভাষা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে তারকা প্রচারকদের। ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংযত না হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’ শুধু বিবৃতি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি নির্বাচন কমিশন। কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ভাষা ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ জমা পড়া মাত্রই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।