নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘দিল্লি-চলো’ ডাক দিয়েছে কৃষকরা। আর তার আগেই দিল্লিতে তীব্র যানজট। কৃষকদের ‘দিল্লি-চলো’ বিক্ষোভের আগে সিংঘু সীমান্তের কাছে নিরাপত্তা জোরদার করায় জিটি কারনাল রোডে যানজট দেখা গিয়েছে। এক পথচারি জানিয়েছেন, ‘এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ডিএনডি ফ্লাইওভারে আটকে আছি। ট্র্যাফিকের অবস্থা খুবই কম।‘
জানা গিয়েছে, কৃষকরা যাতে রাজধানী দিল্লিতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য দিল্লির সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। সিঙ্ঘু, গাজীপুর, টিকরি সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রতিটি জায়গায় হাজার থেকে দেড় হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির কথা পর্যালোচনা করে এই নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি বাস স্ট্যান্ড, মেট্রো স্টেশন ও রেল স্টেশনে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। কৃষকরা যাতে এই সব গণপরিবহণ ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
কৃষক সংগঠনের প্রায় ২০০টি বেশি ইউনিয়ন দিল্লি অভিযান শুরু করেছে। শস্যের ওপর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সুনিশ্চিত করতে আইন আনার দাবি জানিয়েছে কৃযকরা। পাশাপাশি স্বামীনাথন কমিশন যে সব প্রস্তাব দিয়েছে, তা কার্যকর করারও দাবি জানিয়েছে তাঁরা। সেইসঙ্গে লখিমপুর খেরিতে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল, তার সুবিচারও দাবি তুলেছে তাঁরা। কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করে আদৌ কি সমাধানসূত্র বেরোবে, এখন সেটাই দেখার। উল্লেখ্য, এর আগেও কৃষকদের আন্দোলনের জেরে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল রাজধানী দিল্লি। কৃষকদের আন্দোলনের জেরে চাপে পডে যায় কেন্দ্রীয় সরকার। ফের আরও এক একবার কৃষক আন্দেলনের সূত্রপাত হতে চলেছে রাজধানীর বুকে।