নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলং: সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছে না কংগ্রেসের। উল্টে একের পর এক ধাক্কা খেতে হচ্ছে। কিছুদিন আগেই পাহাড়ি রাজ্য মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার নেতৃত্বে ১২ কংগ্রেস বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছিলেন। দলত্যাগের কারণে তাঁদের সদস্যপদ খারিজের জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে আপত্তি জানিয়েছিল সোনিয়া গান্ধির দল। বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধ্যক্ষ মেটবাহ লিংডো কংগ্রেসের সেই আর্জি খারিজ করে দিয়ে ১২ বিধায়কের দলবদলকে মান্যতা দিয়েছেন। অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে তাঁর বিরোধী শিবিরের নেতাকে নিয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে গত মাসে দল ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। তাঁর সঙ্গেই কংগ্রেস ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন আরও ১১ বিধায়ক। যাঁরা দলত্যাগ করেছিলেন তাঁরা হলেন, মার্টিন সাংমা, জিম্মি ডি সাংমা, লাঝারুজ এম সাংমা, মিয়ানি ডি শিরা, ডিক্কানচি শিরা, জেনিথ এম সাংমা, এইচ এম সাঙ্গপিলিয়াং, জর্জ বি লিংডো, উইনারসন ডি সাংমা, চার্লস পিনগ্রোপ, সিটলাং পালে। ১২ বিধায়কের দলত্যাগের ফলে বিধানসভায় কংগ্রেসের শক্তি কমে দাঁড়ায় ছয়ে। কংগ্রেসকে সরিয়ে বিরোধী দল হয়ে ওঠে তৃণমূল।
দলের ১২ বিধায়কের দলত্যাগের পরেই বিধানসভার অধ্যক্ষ মেটবাহ লিংডোকে চিঠি পাঠিয়ে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানান কংগ্রেস বিধায়ক আম্পারিন লিংডো। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিধানসভার অধ্যক্ষ জানিয়ে দেন, তৃণমূলে যোগ দেওয়া ১২ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের কোনও কারণ নেই। এই সিদ্ধান্তে অনেকটাই স্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে যাতে বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়া হয়, তার জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।