নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আর্থিক তছরুপে অভিযুক্তকেই রেল মন্ত্রক তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের শীর্ষ পদে নিয়োগ করে বসে আছে। এক বছর বা দেড় বছরের জন্য নয়, আংশিক সময়ের জন্যও নয়, পুরো সময়ের জন্য তাকে ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অ্যান্ড ম্যানেজিং ডাইরেক্টর পদে নিয়োগ করা হয়েছে। আর সেই ব্যক্তি আগে যে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার শীর্ষপদে ছিলেন সেখানে তিনি অর্থ নয়ছয় করেন। আর্থিক নয়ছয়ের পরিমাণ ১৪৪ কোটি টাকা।
অর্থ নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় আগে কর্মরত ছিলেন শিলংয়ের হিন্দুস্তান পেপার মিলস কর্পোরেশনে। সেটাও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা। কেন্দ্রের ভারী শিল্পমন্ত্রকের অধীনস্থ। অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্থার ডাইরেক্টর (ফিন্যান্স) ছিলেন। অর্থ নয়-ছয় হয়েছে ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে। সেটা প্রকাশ্যে এলে কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। ২০১৭ সালে মন্ত্রক সিবিআইয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠায়। সেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিবাই (শিলং) তদন্ত শুরু করে। তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করে এফআইআর। অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও আরও দুইজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। এরা হলেন সংস্থার প্রাক্তন এমডি ভিএন রাও এবং প্রাক্তন ডিরেক্টর (অপারেশন) এসএন ভট্টাচার্য। এই বিশাল পরিমাণ অর্থতছরূপে জড়িত ব্যক্তিকেই রেল মন্ত্রক মন্ত্রক অধীনস্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরে শীর্ষপদে নিয়োগ করেছে।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়া যে বা যারা যুক্ত, কী করে তাদের সবার নজর এডিয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।