নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে টুইটারে প্রচার করে বিতর্কের জন্ম দেন রাজ্যপাল। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা। যা রাজ্যপালকে জানিয়ে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বিষয়ে সংবিধানের ধারা দিয়ে এমনই শনি দুপুরে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও সমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই সামান্য বিষয় নিয়ে টুইটারে টুইট করায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে বিঁধেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।
তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘রাজ্যপালের থেকে বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত করার মতো পদক্ষেপ প্রত্যাশিত নয়। তা প্রতিষ্ঠিত নিয়ম বিরুদ্ধ। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের উচিত সংবিধানের রক্ষার ক্ষেত্রে নিজেকে আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। গণতন্ত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মান জ্ঞাপন করা উচিত।’ যদিও এদিকে স্ট্যালিনের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যপাল ধনখড়। গত শনিবার পুরভোটের মাঝেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় টুইট করে জানান, ‘১৭৪-র ২/ক ধারা অনুযায়ী আমি বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১২ ফেব্রুয়ারি থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। ভারতীয় সংবিধান আমাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।’
The act of #WestBengal Governor to prorogue the WB Assembly Session is without any propriety expected from the exalted post and goes against the established norms and conventions. (1/2)
— M.K.Stalin (@mkstalin) February 13, 2022
The ‘symbolic’ head of the state should be the role model to uphold the constitution. Beauty of democracy lies in extending mutual respect to each other. (2/2)
— M.K.Stalin (@mkstalin) February 13, 2022
যার ভিত্তিতে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায় শনিবার স্পষ্ট করে দেন, রাজ্য সরকারের সুপারিশে বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। নিয়ম মেনে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত রাখার সুপারিশ নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিষদীয় দফতর এবং তা গ্রহণ করেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে টুইট করার কী মানে আছে?