নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়খণ্ড : সরকার বাঁচাতে নিজেদের রাজ্য ছেড়ে ছত্তিশগড়ে ঘাঁটি গাড়ছেন ঝাড়খণ্ডের জোট সরকারের বিধায়করা। বিজেপির থাবা থেকে বাঁচতেই এই পরিকল্পনা বলে জানা গিয়েছে। ছত্তিশগড় কংগ্রেস শাসিত রাজ্য। সেখানে গেরুয়া বাহিনীর হাত পৌঁছাবে না বলেই এই সিদ্ধান্ত।
নির্বাচন কমিশন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে পদত্যাগের সুপারিশপত্র দেওয়ায় ওই রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। যদিও ঝাড়খণ্ডের মোর্চা-কংগ্রেসের জোট সরকারের অভিযোগ, অনেক আগে থেকেই ঝাড়খণ্ডে সরকার পক্ষের বিধায়কদের কেনার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। কলকাতায় টাকা সমেত ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক ধরা পড়েন। অভিযোগ তাঁরা অসমে গিয়ে সোরেন সরকারকে ফেলতে ‘ডিল’ করে এসেছেন। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই খনি লিজ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় নির্বাচন কমিশন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে পদত্যাগের সুপারিশ করে। এই মর্মে তারা রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট দেয়। এরপরই সোরেনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। তিনি কমিশনের সুপারিশ মেনে পদত্যাগ করবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এক্ষেত্রে বিহার মডেলে তিনি তাঁর স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে পারেন বলেও জল্পনা শুরু হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশের পরই বিজেপি অক্সিজেন পেয়ে নতুন করে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে। অভিযোগ, ১৬ জন জোট সরকারের বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে গেরুয়া বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে বিধায়কদের ধরে রাখতে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস বিধায়করা ছত্তিশগড় পাড়ি দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেস শাসিত ওই রাজ্যে বিধায়করা নিরাপদে থাকবেন বলে এই সিদ্ধান্ত।
সূত্রের খবর, শনিবার কয়েকজন বিধায়ককে লাগেজ সমেত হেমন্ত সোরেনের বাসভবনে দেখা গিয়েছে। এদিকে ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস নেতা আলমগীর আলম পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, তাঁরা হেমন্ত সোরেনকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চাইবেন। কারণ কমিশন সোরেনের ইস্তফার সুপারিশ করলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অধিকার কেড়ে নেয়নি। তাই ইস্তফা দিয়ে সোরেনের ফের ভোটে গিতে আসাতে কোনও বাধা নেই। আগামিদিনে ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় সে দিকেই চোখ রাজনৈতিক মহলের।