এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সন্তানহীন দম্পতি ও সিঙ্গেল চাইল্ড বাড়ছে দেশে, পর্ষবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) শীর্ষ বেঞ্চ বা সাংবিধানিক বেঞ্চে(Constitution Bench) চলছে সমলিঙ্গের বিয়ে(Same Sex Marriage) বৈধতা পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলা যার দিকে গোটা দেশ তাকিয়ে আছে। কেন্দ্র সরকার প্রথম থেকেই সমলিঙ্গের বিবাহের বিরোধী। তাঁরা তো চাইই না সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা শুনুক। এমনকি এই প্রসঙ্গে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল। যদিও সেই আপত্তি ধোপে টেকেনি, সাংবিধানিক বেঞ্চ কেন্দ্রের সব যুক্তি, সব আপত্তি ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণে(Observation) এমন সব বিষয় উঠে আসছে যা দেখে মনে করা হচ্ছে সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতার কথা ঘোষণা করা বা সেই মর্মে রায় দেওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কেননা যে সব পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালত তুলে ধরছে বা সামনে নিয়ে আসছে তা দিয়েই যারা সমলিঙ্গের বিবাহের বিরুদ্ধে তাঁদের সব আপত্তি খারিজ হয়ে যাচ্ছে। সেই সব পর্যবেক্ষণের অন্যতম হল দেশে সন্তানহীন দম্পত্তিদের(Childless Couple) সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সিঙ্গেল চাইল্ডদের(Single Child) সংখ্যা বৃদ্ধি।

আরও পড়ুন সমলিঙ্গের সম্পর্ক শুধু শরীরে আবদ্ধ নেই, সেখানে মনও আছে

বৃহস্পতিবার ছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে সমলিঙ্গের বিয়ের মামলায় শুনানির তৃতীয় দিন। এদিন শুনানি চলাকালীন সময়েই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সামনে নিয়ে আসেন। কেন আনেন? যারা সমলিঙ্গের বিয়ের বিরুদ্ধে তাঁদের অন্যতম দাবি, দুটি ছেলে বা দুটি মেয়ে বিয়ে করলে তাঁরা সন্তান উৎপাদনে অক্ষম। বিয়ের অন্যতম শর্তই হচ্ছে নাকি সন্তান উৎপাদন ও বংশবৃদ্ধি। কিন্ত এখানেই শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ সামনে আনেন শীর্ষ বিচারপতি। তিনি জানান, দেশজুড়ে সন্তানহীন দম্পতির সংখ্যা বাড়ছে। কেউ কেউ শারীরিক সমস্যার জন্য সন্তান নিতে পারছেন না, আবার কেউ কেউ কাজের ব্যস্ততার জন্য সন্তান নিতে চাইছেন না। তাহলে তাঁরা কী দম্পতি নয়? নাকি তাঁদের বিয়েটা করা উচিত নয় বা বিয়েটা ভেঙে দেওয়া উচিত। যদি তাঁদের বিয়ে করার ও একত্রে দাম্পত্য জীবন কাটাবার অধিকার থাকে তাহলে দুইজন পুরুষ বা দুইজন নারীর বিয়ের অধিকার থাকবে না কেন!

আরও পড়ুন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নয় অভিষেকের নব জোয়ার কর্মসূচি

একই সঙ্গে আদালতের যুক্তি, দেশ জুড়ে সিঙ্গেল মাদার বা সিঙ্গেল ফাদারের সংখ্যা বাড়ছে। তাঁদের সন্তানদেরকেই সিঙ্গেল চাইল্ড বলা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে সিঙ্গেল মাদারের ক্ষেত্রে তাঁরা হয় নিজেরা গর্ভধারণ করছেন বা দত্তক নিচ্ছেন। আর সিঙ্গেল ফাদাররা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তান দত্তক নিচ্ছেন। ক্লেউ কেউ সঙ্গীনির কাছ থেকে সন্তান নিয়ে প্রতিপালন করছেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিয়ে করাটা প্রধান্য পাচ্ছে না এবং চোখের সামনে একজন বায়োলজিক্যাল ফাদার বা বায়োলজিক্যাল মাদার থাকাটাও বাধ্যতামূলক হচ্ছে না। বিয়ে না করেও যদি কেউ এভাবে সন্তান প্রতিপালন করতে পারেন তাহলে দুইজন পুরুষ বা দুইজন নারী বিয়ে করে সন্তান দত্তক নিলে সেখানে আপত্তি উঠবে কেন! এর পাশাপাশি আদালত এদিন জানিয়ে দিয়েছে সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতা চেয়ে যারা আবেদন করেছেন তাঁদের সংখ্যা অনেক বেশি থাকায় এবার তাঁদেরই ঠিক করে নিতে হবে তাঁদের মধ্যে কে কে আর এই মামলার স্বপক্ষে কথা বলবেন আর কতক্ষণ বলবেন। কার্যত এটা বোঝাই যাচ্ছে মামলার শুনানি আর দীর্ঘায়িত করতে রাজি নন সাংবিধানিক বেঞ্চের বিচারপতিরা। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সম্ভবত সেদিন বা পঞ্চম দিন যে শুনানির জন্য ঠিক হবে সেদিনই এই মামলার রায় দিয়ে দিতে পারে দেশের শীর্ষ আদালত।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

যৌন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার দেবগৌড়া পুত্র এইচডি রেভান্না

দেবগৌড়ার নাতির হদিশ পেতে এবার ব্লু কর্নার নোটিশ সিবিআইয়ের!

দিল্লিতে আপের তারকা প্রচারকের তালিকায় তিহাড় বন্দি কেজরিওয়াল, সুনীতা

বিজেপিতে ঘর ওয়াপসি অরবিন্দর সিং লাভলির

বিজেপিতে যোগ দিলেন দুর্নীতির দায়ে জেল খাটা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী

কয়লা খনি দিবসে জেনে নিন খনি শ্রমিকদের কঠিন লড়াইয়ের কথা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর