নিজস্ব প্রতিনিধি: এক ঝটকায় সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media) কুলীন তকমা হারালেন দেশের ও বিশ্বের নামীদামী ব্যক্তিত্বরা। কেননা বৃহস্পতিবার থেকেই ট্যুইটারে(Twitter) সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘ব্লু টিক’(Blue Tick) যা তাঁদের প্রোফাইলের অরিজিন্যালিটি তুলে ধরত। মানে তাঁর প্রোফাইলটি সত্যিকারের নাকি ফেক সেটাই ফারাক গড়ে দিত। ২০০৯ সালে ট্যুইটার এই ‘ব্লু টিক’ সিস্টেম চালু করেছিল। যাতে সেলিব্রিটি বা বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের আলাদা করে চিহ্নিত করা এবং ফেক নিউজ বা ভুল তথ্য পরিবেশন রুখে দেওয়া ছিল মূল উদ্দেশ্য। স্বাভাবিক ভাবেই বলিউড তারকা, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সমাজের বহু গণ্যমান্য, অভিনেতা-অভিনেত্রী, ক্রীড়াবিদ, রাজনীতিবিদ থেকে সাংবাদিক সকলেই পেয়েছিলেন এই বিশেষ তকমা। প্রায় ৩ লক্ষ ট্যুইটার ব্যবহারকারীর নামের পাশে ‘ব্লু টিক’ বসত। ট্যুইটার এতদিন জনপ্রিয়তা এবং সমাজের প্রতি অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এদের হ্যান্ডেলগুলিকে ‘ব্লু টিক’ হ্যান্ডেলের তকমা দিয়ে রেখেছিল। বৃহস্পতিবার থেকে সেটাই খুইয়ে বসে আছেন প্রায় দেড় লক্ষ তারকা ও মিডিয়া হাউস।
আরও পড়ুন উনিশের ভোটে জেতার মূলে ভিভিপ্যাট কারচুপি, অস্বীকার কমিশনের
এলেন মাস্ক(Elon Mask) ট্যুইটার অধিগ্রহণের পরই ঘোষণা করেছিলেন, অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করতে হলে সকলকেই মাসিক টাকা দিতে হবে। ‘ব্লু টিক’ বা অধুনা যে সোনালি বা রুপোলি টিক চালু হয়েছে, সেগুলি মিলবে স্রেফ টাকা দিলেই। আর কোনওভাবে না। মাস্কের সাফ বক্তব্য ছিল, ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল।’ সেই নীতি মেনেই লিগ্যাসি ভেরিফায়েড ‘ব্লু টিক’ বাতিল করে দিয়েছে ট্যুইটার। যার ফলে রাতারাতি ‘ব্লু টিক’ হারাতে হয়েছে বিশ্ব ও ভারতের তামাম সেলিব্রিটিকুলকে। কারা কারা হারিয়েছেন এই ‘ব্লু টিক’? তালিকায় আছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee), উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আছেন অমিতাভ বচ্চন(Amitabh Bachchan), শাহরুখ খান(Shah Rukh Khan), বিরাট কোহলি.(Virat Kohli) রাহুল গান্ধি, ওপরা উইনফ্রে, জাস্টিন বিবার, কেটি পেরি এবং কিম কার্দাশিয়ানের মতো তারকারাও। বিশেষ হওয়ার চিহ্ন হারিয়েছেন বিল গেটস থেকে শুরু করে পোপ ফ্রান্সিসের মতো ব্যক্তিত্বরাও। এখন থেকে শুধুমাত্র যে ট্যুইটার ব্যবহারকারীরা টাকা দিয়ে ‘ব্লু টিক’ পরিষেবা গ্রহণ করবেন, তাঁদের নামের পাশেই এই বিশেষ চিহ্ন বসবে।
আরও পড়ুন দ্রুত ১৮৫২ কোটি টাকা মেটান, নবান্নকে শাহি বার্তা
এলেন মাস্কের মাইক্রোব্লিগং সাইটের তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ‘ব্লু টিক’ রাখার জন্য মাসিক ৬৫৭ টাকা করে দিতে হবে ব্যবহারকারীদের। কোনও সংস্থা যদি তাদের ট্যুইটারে তাদের নামের পাশে ‘ব্লু টিক’ রাখতে চায়, সে ক্ষেত্রে খরচ করতে হবে অনেক বেশি, প্রায় ৮২ হাজার টাকা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যাঁরা আগেভাগেই এই টাকা দিয়ে রেখেছিলেন, ট্যুইটারে তাঁদের নামের পাশের ‘ব্লু টিক’ চিহ্ন রয়েছে। মাস্ক জমানার আগে পর্যন্ত বিনামূল্যেই ব্লু টিক পেতেন সেলেবরা। এবার থেকে সেটা বন্ধ হয়ে গেল।