নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোট বড় বালাই, তাই সেই ছকেই বাজেট করতে গিয়ে দিশেহারা কেন্দ্রীয় সরকার। ভোটের কথা মাথাতে রেখেই তাই ঢালাই প্রতিশ্রুতি ও গুচ্ছ গুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। কিন্তু প্রশ্ন একটাই ঠিক কতদিনের মধ্যে পূরণ হবে সমস্ত প্রতিশ্রুতি? আর দশদিনের মধ্যেই পাঁচ রাজ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে যাবে। সেই দিকে মাথাতে রেখেই একগুচ্ছ পরিকল্পনা ও প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
মঙ্গলবার বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ‘পিএম গতিশক্তি মাস্টার প্ল্যান। পরিকাঠামো নির্মাণে জোর দেওয়ার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প আনা হচ্ছে। সড়ক ও রেলপথের যোগাযোগ পরিকাঠামোকে উন্নত করবে এই পরিকল্পনা। সড়ক, জলপথ, বিমা, রেলপথ-সহ সাতটি পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করবে এই প্রকল্প। তাছাড়া রেলে পিপিই মডেলে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। ১০০ লক্ষ কোটি টাকার এই প্রকল্পের লক্ষ্য পরিকাঠামোগত উন্নতি। আরও চারশো বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন আসবে। আগামী আর্থিক বছরের মধ্যে জাতীয় সড়ক বিস্তৃত হবে হবে ২৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। রেলপথের প্রায় দু’হাজার কিলোমিটার বিশ্বমানের প্রযুক্তির আওতায় এনে উন্নয়ন করা হবে। যাত্রীদের বিশ্বমানের পরিষেবা দেওয়া সরকারের লক্ষ্য।’
দেশের বেকার যুবকদের জন্য দিশে দেখিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি এবং অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলবে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তথ্যপ্রযুক্তি হাব তৈরি করা হবে। নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই ওই হাব তৈরি করবে। চালু হতে চলেছে ১১টি নতুন মেট্রোলাইন। চলতি বছরের শেষে শুরু হচ্ছে ৫জি স্পেকট্রাম পরিষেবাও। সেখানে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। মোট ৬০ লক্ষ বেকার যুবকদের আগামী অর্থবর্ষের মধ্যে কাজ দেওয়া হবে। এছাড়াও ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ ৮ টি রোপওয়ে চালু হবে। ২৩ টি হেলথ সেন্টার তৈরি হবে। ১০০ টি গতি শক্তি কার্গো টার্মিনাল তৈরি হবে। পিএম আবাস যোজনায় ৮০ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ হবে যার জন্য বরাদ্দ ৬০ হাজার কোটি টাকা।’ কিন্তু এতকিছু ঘোষণাতেই শেষ হয়ে যাবে না তো প্রশ্ন আমজনতার। কারণ দেশে ‘আচ্ছে দিন’ এখনও আসেনি, তাইন খোঁচা দিচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও।