নিজস্ব প্রতিনিধি : অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য মনমোহন সিংয়ের মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে ভারতকে নয়া দিশা দেখিয়েছিলেন। যার জন্য দেশ কৃতজ্ঞ। যিনি পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন। গুজরাত-হিমাচল প্রদেশের ভোটের আগে গডকড়ির এই মন্তব্য বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেল্পবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার টিআইওওল অ্যাওয়ার্ডসে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী জানান, অর্থমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯১ সালে যে অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজ শুরু করেছিলেন, তা ভারতকে নয়া পথ দেখিয়েছিল। গডকড়ি বলেন, ‘মুক্ত অর্থনীতির কারণে নয়া দিশা পেয়েছিল ভারত। সেজন্য মনমোহন সিংয়ের কাছে ঋণী থাকবে দেশ।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, নয়ের দশকে যখন মহারাষ্ট্রে মন্ত্রী ছিলেন, সেইসময় রাস্তা নির্মাণের জন্য যে অর্থ জোগাড় করেছিলেন, সেটা সম্ভব হয়েছিল নয়া অর্থনৈতিক নীতির কারণেই। যা ১৯৯১ সালে চালু করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং। গডকড়ির মতে, মুক্ত অর্থনৈতিক নীতির ফলে লাভবান হয়েছেন কৃষক এবং গরিব মানুষরা। গডকড়ি জানান, কোনও দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কীভাবে মুক্ত অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে, তা চিনকে দেখলে বোঝা যায়। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রীর দাবি, আর্থিক বৃদ্ধির হার আরও বাড়াতে ভারতে মূলধনী খাতে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন আছে।
মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিজেপি প্রায়শই তাঁকে ‘মৌনি বাবা’ বলে কটাক্ষ করত। তিনি গান্ধী পরিবারের পুতুল বলেও কটাক্ষ করত গেরুয়া শিবির। গডকড়ির মতো বিজেপির প্রথম সারির নেতার সেই ‘মৌনি বাবা’র এই ভূয়সী প্রশংসা রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এর আগেও গডকড়ির একাধিক মন্তব্যে বিজেপি অস্বস্তিতে পড়েছে। এবার দুই রাজ্যে ভোটের আগে গডকড়ির এই প্রশংসাও কংগ্রসের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।