নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিশেষ খানাপিনার আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বিদেশ থেকে আসা রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মানে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ওই ভুরিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাছাড়াও বাছাই করা অতিথিদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো শুরু হয়েছে। কিন্তু যেভাবে ওই আমন্ত্রণে আচমকাই দেশের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকরা। তাই প্রতিবাদে ৯ সেপ্টেম্বরের নৈশভোজ বয়কট করতে পারেন বিরোধী শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। আগামিকাল বুধবারই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ বদলে ‘ভারত’ রাখার সওয়াল করেছিলেন। আর তার সওয়ালের কয়েক দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত নৈশভোজের আমন্ত্রণ পত্রে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা হয়েছে। ওই আমন্ত্রণপত্র নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিজেপির মোসাহেব হিসেবে পরিচিত অমিতাভ বচ্চন থেকে বীরেন্দ্র শেহবাগরা ‘মারহাব্বা’, ‘ভারত মাতা কী জয়’ বলে উদ্বাহু হয়ে নেত্য শুরু করেছেন।
যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার ইতিমধ্যেই দেশের নাম বদলে দেওয়া নিয়ে টিপ্পনি ছুড়েছেন এবং মোদি সরকারকে নিশানা করেছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এক ধাপ এগিয়ে কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘যদি বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘ভারত’ রাখা হয়, তাহলে কী দেশের নাম ‘ভারত’ পাল্টে দেওয়া হবে?’ সূত্রের খবর, দেশের নাম এইভাবে একতরফাভাবে বদলে দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে রাষ্ট্রপতির নৈশভোজের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বিরোধী জোটের শরিক বিভিন্ন দলের মুখ্যমন্ত্রীরা।